স্টাফ রিপোর্টার: ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) নির্বাচনে ভোটে নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলপন্থী (TMC) চিকিৎসক সংগঠনের। টানা একমাস ধরে ভোট দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। জি ও এইচ ক্লজে ৭ জন করে প্রার্থী, মোট ১৪ জনের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে। জি ক্লজ চিকিৎসক-অধ্যাপক সংগঠনের। এইচ ক্লজ ছিল চিকিৎসক সংগঠনের। জি ক্লজে ভোট পড়েছিল ২৬৩৪। মোট ভোটার ছিলেন ৩৫০০। অন্যদিকে, এইচ ক্লজে ৬২ হাজারেরও বেশি ভোটার। ব্যালট জমা হয়েছে ২৪ হাজারের কিছু বেশি। ভোটগণনা নিয়ে দু’পক্ষই ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। কিন্তু সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে শেষ হাসি হাসল তৃণমূলই। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নতুন সভাপতি হতে চলেছেন প্রবীণ চিকিৎসক, বিধায়ক ডাঃ সুদীপ্ত রায়। ফলপ্রকাশের পর এই জয়কে তিনি দলের নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) উৎসর্গ করেছেন।
ভোটদান থেকে ব্যালট পেপার (Ballot Paper) গণনা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল বিরোধী জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস সংগঠনের। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় ফলঘোষণার পর দেখা গেল, বিরোধীদের অভিযোগকে গ্রাহ্যের মধ্যে না এনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। অন্যদিকে, খোদ রিটার্নিং অফিসারের (RO) বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিরোধী চিকিৎসক সংগঠন। অন্য একটি অংশ গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। সেসময় কাউন্সিল অফিসের সামনে তৃণমূল চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা সবুজ আবির মাখামাখি করছেন।
[আরও পডুন: প্রেমের টানে বাংলাদেশে মিশরের তরুণী! আনন্দের জোয়ারে ভাসল পরিবার]
আদালতের নির্দেশে প্রায় সাত বছর পর চিকিৎসকদের নীতি নির্ধারক ও রেজিস্ট্রেশন দানকারী সংস্থা মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন শুরু হয় সেপ্টেম্বরে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, প্রার্থী অর্জুন দাশগুপ্তর নামই ছিল না ব্যালট পেপারে। ফলে অর্জুন দাশগুপ্ত নকল ব্যালট ব্যবহারের অভিযোগে রিট পিটিশন দাখিল করেন হাই কোর্টে (Calcutta HC)।
[আরও পডুন: ‘প্রকৃত বন্ধু’, জিনপিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তান, শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন, কিমও]
শুক্রবার কাউন্সিল অফিসে গিয়ে শাসক শিবিরের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ তোলেন ডাঃ কুণাল সাহা। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিন যৌথ মঞ্চের তরফে মানস গুন্টা, কৌশিক চাকিরা জানান, ফলপ্রকাশের পরই রিটার্নিং অফিসার তথা কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। যদিও সব অভিযোগ নস্যাৎ করে শাসকগোষ্ঠীর নেতা সুদীপ্ত রায় বলেছেন, ”নকশাল ও সিপিএমের জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠন, এই জয় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।”