সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার বদলে প্রশ্ন মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই স্পষ্টভাবে সাংসদ মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়াল তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল স্পষ্ট বলছে, এটা চেনা চিত্রনাট্য। বিজেপির প্রধান বিরোধী তৃণমূল (TMC)। তাই মহুয়ার মতো লড়াকু নেতানেত্রীদের ফাঁসাতে এই ধরনের চিত্রনাট্য সাজানো হচ্ছে।
দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন,”মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে ওই একই চিত্রনাট্য। এটা সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করতে না পেরে নিজেদের শাখা সংগঠন ইডি এবং সিবিআইকে দিয়ে নানান গল্প ফেঁদে তৃণমূল নেতাদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূলের নেতৃত্বকে টার্গেট করে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা বিজেপির কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি। বাংলার মানুষ এসব মেনে নেবে না। বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের যে চেষ্টা করা হচ্ছে মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।”
[আরও পড়ুন: লজ্জায় মুখ ঢাকছে বাণিজ্য নগরী! মুম্বইয়ে দশ বছরে ধর্ষণ বেড়েছে ১৩০ শতাংশ]
সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য,”আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেই মহুয়াকে নিয়ে এত জলঘোলা। আসল বিষয় নিয়ে কোনও সিবিআই তদন্ত হচ্ছে না। যে যে অভিযোগ মহুয়া করেছেন, সেগুলি নিয়ে তদন্ত করাই প্রাথমিক কাজ হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা না করে সেকেন্ডারি বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ওড়িশা থেকে উদ্ধার বাংলার নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের দেহ, সন্তানহারা আরামবাগের পরিবার]
এদিকে মহুয়ার এই ‘পরিণতি’র নেপথ্যে যিনি, সেই নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey) রীতিমতো উৎফুল্ল। সোশাল মিডিয়ায় তিনি আবার নয়া অভিযোগ করেছেন। মহুয়ার আয়কর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলছেন, ২০২১-২২ সালে মাত্র ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা আয়কর দিয়েছেন মহুয়া। আগের বছরগুলিতে অঙ্কটা আরও কম। তাঁর বক্তব্য, “টাকা ছাড়া কীভাবে বিজনেস ক্লাসের বিমানে বিদেশে যাওয়া যায়, ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা যায়, নামীদামি ব্র্যান্ডের ব্যাগ, পার্স কেনা যায়, সেটা এই দুর্নীতিবাজ সাংসদের থেকে শিখতে হবে। ইডি-সিবিআই তো এসব হিসাবে চাইবেই।”