সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাঝে বিহারের পরবর্তী শাসক হিসেবে নীতীশ কুমারের পাল্লাই ভারী এখনও। একুশে এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে প্রতিবেশীদের নির্বাচনী ফলাফলের কোনও প্রভাব কি পড়বে এ রাজ্যে? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের শাসক ও বিরোধীরা মোটের উপর একমত। না, এ রাজ্যের লড়াইয়ে বিহারের কোনও প্রভাব পড়বে না। আর এখানেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক লড়াই কেমন হবে, তাও বুঝিয়ে দিলেন দু’দলের দুই হেভিওয়েট। বসিরহাটের সভায় রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) আত্মবিশ্বাসী সুর, ”একুশে মমতার বিকল্প কেউ নেই।” আর জলপাইগুড়ির সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) হুঙ্কার, ”একুশে তৃণমূল সাফ হবে।”
মঙ্গলবার বসিরহাটের স্বরূপনগর মালঙ্গপাড়া হাই স্কুলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনী জনসভা ছিল। প্রধান অতিথি হিসেবে সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ”বিহারের নির্বাচনী ফলাফলের (Bihar Election Results 2020) প্রভাব বাংলায় পড়বে সীমানা এলাকায়। কিন্তু ২০২১-এ মমতার বিকল্প কেউ নেই।” এর নেপথ্যে যুক্তি সাজিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য, ”রাজ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কোন মুখ নেই। বহিরাগতদের স্থান নেই এখানে। বাংলার বিকল্প কী করে হবে? সিপিএম হাল ছেড়ে দিয়েছে, কংগ্রেস উঠে গিয়েছে। বিজেপি কিছু আছে, তবে ওদের বিকল্প মুখ্যমন্ত্রীর নাম নেই। এই বিধানসভায় আপনারা ২০১৬ সালের ২৪ হাজার ভোটে জিতেছিলেন, এবার ২১এ সেটা ৭৪ হাজার ভোটে জিততে হবে। সবাই মিলে সংগ্রাম করুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন।”
[আরও পড়ুন: প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করায় আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী! ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব]
অন্যদিকে, এদিন জলপাইগুড়ির চূড়াভাণ্ডারে দলীয় সভা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সভা শেষে সাংবাদিকরা তাঁকে বিহারের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ”বিহারে নীতীশ সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা নেই, এমন একটা প্রচার করা হচ্ছিল। তবে আমরা প্রত্যয়ী ছিলাম। বিহারের মানুষজন আবার জঙ্গলরাজে ফিরে যেতে চান না, তা তো ফলাফলেই স্পষ্ট হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলন কারও নয়, স্বতঃস্ফূর্ত’, অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে বার্তা শুভেন্দুর]
বাংলার ভোটে এই ফলাফলের কোনও প্রভাব পড়বে? এর উত্তরে তিনি জানান, ”বিহারের রাজনীতি বিহারে, বাংলার রাজনীতি বাংলায়। ২১-এ সাফ হবে তৃণমূল। বাংলার ভোটে দিল্লি থেকে পুলিশ আসবে। লাঠি, বন্দুক হাতে তাঁরা বুথ পাহারা দেবেন। ভোটার কার্ড দেখিয়ে ভোট দেবেন সাধারণ মানুষ। দিদির পুলিশ দূরে দাঁড়িয়ে দেখবেন। কেউ চোখ দেখাতে এলে ডান্ডার দাগ নিয়ে বাড়িতে যেতে হবে।”
শুনুন তাঁদের বক্তব্য: