সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে প্রায় ঘণ্টা তিনেক পিকের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পিকে-মমতার এই বৈঠক ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই দলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করতে পারেন মমতা। সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে পিকের (PK) সঙ্গে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এখন থেকে দল এবং প্রশাসনের কাজকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে চাইছেন মমতা (Mamata Banerjee)। যাতে প্রশাসনিক বা সরকারের কাজে কোনওরকম অসুবিধা না করেই দলের সংগঠন বৃদ্ধির কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়। মূলত সেই লক্ষ্যেই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ম চালু করছে শাসকদল। রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে আর জেলা সভাপতি বা দলের অন্য কোনও সাংগঠনিক পদে রাখা হবে না। আবার দলের কোনও পদাধিকারিকে নিয়োগ করা হবে না প্রশাসনিক পদে। জেলাস্তর থেকে একেবারে ব্লকস্তর পর্যন্ত এই নিয়ম চালু থাকবে। এই নতুন নিয়মের ফলে অন্তত চারটি জেলার জেলা সভাপতি বদল করতে হবে শাসক শিবিরকে। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া গ্রামীণ, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতিরা এই মুহূর্তে রাজ্যের মন্ত্রীপদে রয়েছেন। এদের সকলকেই যে কোনও একটি পদ ছাড়তে হবে। ব্লকস্তরেও বহু রদবদল হবে। কারণ, একেবারে নিচের তলাতেও দেখা যায় একজন ব্যক্তিই একাধিক পদ দখল করে বসে আছেন। দলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দ্রুত এই রদবদলগুলি সেরে ফেলে উপনির্বাচন এবং পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নেমে পড়বে শাসক শিবির। সম্ভবত, সেই রদবদলের জন্যই প্রশান্তের সঙ্গে একান্ত আলোচনা করলেন মমতা।
[আরও পড়ুন: পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান মুকুলই, স্পিকারের ঘোষণার পর বিক্ষোভ BJP’র]
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের নির্বাচনী পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। যদিও একুশের নির্বাচনের পর নির্বাচনী পরামর্শদাতার কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পিকে। তাঁর সংস্থা I-PAC এখনও তৃণমূলের হয়েই কাজ করছে। তাছাড়া একুশের ভোটে তৃণমূল স্তরে কাজ করেছে পিকের টিম। সেক্ষেত্রে কোন জেলায়, কোন নেতার প্রভাব বেশি, কার ভাবমূর্তি উজ্বল, সবটাই তাঁর নখদর্পণে। আর প্রশান্ত কিশোর নিজে এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম বড় বিজেপি বিরোধী মুখ। সম্ভবত সেকারণেই রদবদলের আগে মমতা তাঁর পরামর্শ নিয়েছেন।