সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক-দুজন নন, বাংলাদেশে হিংসাত্মক ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে খুন হয়েছেন ৩৭০ জন আওয়ামি লিগের নেতা কর্মী। যার মধ্যে ২২৮ জন নেতাকে নিষ্ঠুরভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গণহত্যার ভয়াবহ এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আনল শেখ হাসিনার দল।
গত জুলাই মাসে কোটা বিরোধীতার নামে আন্দোলন শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। তবে সেই দাবি মেনে নেওয়া হলেও ছাত্র আন্দলনে রাশ পড়েনি। একাধিক মন্ত্রীর পদত্যাগ-সহ নানান দাবিতে হিংসা চরম আকার নেয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীহীন বাংলাদেশে অরাজকতা আরও ভয়াবহ আকার নেয়। অন্তরবর্তীকালীন সরকার গঠিত হলেও হিংসায় লাগাম পরানো যায়নি। এই সব কিছুর মাঝেই সম্প্রতি আওয়ামি লিগের তরফে তাদের দলের নেতা-কর্মী খুনের যে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তা রীতিমতো ভয়ঙ্কর।
প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জুলাই মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের ৩৭০ জন নেতা খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ২২৮ জনকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। কুপিয়ে মারা হয়েছে ৫০ জনকে, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ১০০ জনকে, গুলি করে মারা হয়েছে আরও ২৩ জনকে। নাম পরিচয়-সহ এই তালিকা তুলে ধরার পাশাপাশি হাসিনার দলের দাবি, এই সংখ্যাটা প্রাথমিক বাস্তবে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। প্রশাসনের তরফে কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সংবাদমাধ্যমও পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করছে না। সব তথ্য প্রকাশ্যে এলে বাস্তব সংখ্যাটা আরও অনেক বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সোমবার আওয়ামি লিগের তরফে জানানো হয়েছে, ঠিক কত জন নেতা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে তা পুঙ্খানুপুক্ষভাবে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে দল। শুধু তাই নয় সরকার যে নিহতদের পরিবারের প্রতি অমানবিক সে অভিযোগ তুলে এক নেতা বলেন, নিহতদের পরিবারের তরফে সরকারের কাছে দেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট চাওয়া হলেও, সরকার সে রিপোর্ট দেয়নি। স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সব কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকী বহু নেতা কর্মীর দেহ ময়নাতদন্ত করতেও দেওয়া হয়নি ছাত্রদের তরফে। অসংখ্য দেহ লোপাট করা হয়েছে। এই গণহত্যার তালিকা রাষ্ট্রসংঘের কাছে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে আওয়ামি লিগ।