সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। গতকাল নন্দীগ্রামের ঘটনার পর থেকেই এই দাবি করে আসছে শাসক শিবির। বৃহস্পতিবার সুর আরও চড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সরাসরি বিজেপিকে তোপ দেগে এসেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর উপর এই হামলার পূর্বাভাস ছিলই। বিজেপির নেতাদের বিভিন্ন পোস্ট এবং মন্তব্যেই তা বোঝা যাচ্ছিল। তা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন।
মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ডেরেক ও ব্রায়েনরা। কমিশনে অভিযোগ দায়ের করার পর তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর উপর এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত। অনেক বিজেপি নেতার কথায় হামলার পূর্বাভাস মিলেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, মমতা নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার পরই কেন রাজ্যের ডিজিকে সরানো হল? এডিজি, ডিজিকে অপসারণের পরই এই ঘটনা। মমতার উপর যে আঘাত হানা হল, তার পূর্বাভাস ছিলই। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তাহীন অবস্থায় যেভাবে মমতার উপর আক্রমণ হল, তার দায় কার?”
[আরও পড়ুন: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার অধিকার আছে ব্রিটেনের’, আজব যুক্তি শশী থারুরের]
তৃণমূল মহাসচিব বলছেন,”কমিশন দায়িত্ব নিয়েই পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। দায়িত্ববান পুলিশ আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। বিপদের সময়েও পুলিশকে দূরে সরিয়ে রাখা, এটা কার স্বার্থে?” কালকের ঘটনা নির্বাচনে কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। প্রসঙ্গত, গতকালের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে আহত মুখ্যমন্ত্রী: এমআরআই শেষ, SSKM হাসপাতালে ভরতি মমতা]
পালটা বিজেপির প্রতিনিধিরাও কমিশনে গিয়ে দরবার করে এসেছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সব্যসাচী দত্ত, শিশির বাজোরিয়ারা। তাঁদের দাবি, ঘটনার সত্যমিথ্যা আমরা কেউ জানি না। তাই কমিশনের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য দ্রুত এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা প্রয়োজন। যে ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে, মিডিয়ায় যে ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে তা জনসমক্ষে রাখা হোক।