ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের। প্রথম দফা ভোটের দিন আলিপুরদুয়ারে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এতেই আপত্তি রাজ্যের শাসক দলের। তাদের দাবি, ভোটে বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন রাজ্যপাল। বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে প্রথম দফা ভোটের আগের দিন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল।
রাত পোহালেই উত্তরের তিন জেলায় ভোটের দামামা। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভোটগ্রহণ। এদিকে ভোটে হিংসা রোখার বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সকাল থেকে প্রহরীর মতো রাস্তায় থাকবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো প্রথম দফার ভোটে কোচবিহারে থাকার কথা ছিল রাজ্যপাল বোসের। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে রাজভবনে নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি ই-মেল আসে। ওই ই-মেলেই রাজ্যপালকে কোচবিহারে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তবে কী কারণে কোচবিহারে না যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে কমিশন, সে বিষয়ে ই-মেলে কিছুই উল্লেখ নেই। সম্ভবত নিরাপত্তাজনিত কারণেই তাঁকে কোচবিহারে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে বলেই খবর। সূত্রের খবর, কোচবিহারের পরিবর্তে ১৮ এবং ১৯ তারিখ আলিপুরদুয়ার যাওয়ার পরিকল্পনা করেন রাজ্যপাল। সেই উদ্যোগ নিয়েই তৃণমূলের ঘোর আপত্তি।
[আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজ্যের স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি, জারি বিজ্ঞপ্তি]
কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে তৃণমূলের দাবি, কোনও রাজনৈতিক নেতা বা কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি যার রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে, নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে তাঁদের নির্দিষ্ট সংসদীয় এলাকা ছাড়তে হয়। এ 'সাইলেন্ট পিরিয়ডে' রাজনৈতিক প্রচার, বৈঠক নিষিদ্ধ থাকে। অথচ উত্তরে গেলে রাজ্যপাল বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের। তাঁদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে রাজ্যপাল নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন। তাই সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে তারা।