ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের বিপাকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের সাক্ষাৎ নিয়ে শুভেন্দুর করা ‘কাল্পনিক’ টুইট নিয়ে প্রবল আপত্তি জানাল তৃণমূল। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সোজা বিদেশমন্ত্রকে নালিশ জানাল রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারীর ওই টুইট একই সঙ্গে ভারত-শ্রীলঙ্কার কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং বাংলায় সম্ভাব্য বিনিয়োগের সম্ভাবনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
দিন কয়েক আগে স্পেন যাওয়ার পথে দুবাই বিমানবন্দরে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংহের। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের। সেই সাক্ষাতে কী কথোপকথন হতে পারে? তার একটি কাল্পনিক রূপ সোশাল মিডিয়া সাইট এক্সে পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। যার সারাংশ হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে বাংলাও বিক্রমসিংহের শ্রীলঙ্কার মতো আর্থিক বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে। এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের কাছে ধার-দেনা করার শিক্ষা নিতে চাইছেন।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচি তৃণমূলের, রামলীলা ময়দানে থাকার আবেদনে DCP-কে চিঠি ডেরেকের]
তৃণমূলের বক্তব্য, শুভেন্দুর এই টুইট শুধু যে বাংলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনার জন্য ক্ষতিকর তাই নয়, একই সঙ্গে ভারত-শ্রীলঙ্কা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও অন্তরায় হতে পারে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন সোজা বিদেশমন্ত্রকে টুইট করে জানিয়েছেন,”শুভেন্দুর এই পোস্ট বাংলা এবং শ্রীলঙ্কার আর্থিক সম্পর্ক তো বটেই, সার্বিক ভাবে ভারত-শ্রীলঙ্কা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও ক্ষতি করতে পারে।”
[আরও পড়ুন: পাহাড়চূড়ায় জঙ্গি বাঙ্কার! ৪ দিন পরেও লড়াই অব্যাহত অনন্তনাগে]
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে চিঠি লিখে ডেরেক দাবি করেছেন, ভারত-শ্রীলঙ্কা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭৫ বছর হতে চলল। ভারতের জন্য শ্রীলঙ্কার কৌশলগত অবস্থান ভীষণ জরুরি। শুভেন্দুর এই টুইট সেই সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারে। শুধু তাই নয়, শ্রীলঙ্কায় যে ভারতীয় তামিলরা বসবাস করেন, তাঁদের জন্যও এটা সমস্যার হতে পারে। তাছাড়া বাংলা যখন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য হিসাবে উঠে আসছে, তখন বিরোধী দলনেতার মন্তব্য বাংলার সম্ভাবনাকে নষ্ট করছে। তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক বিদেশমন্ত্রক।