বাবুল হক, মালদহ: তিনি রেশন ডিলার, তৃণমূলের পদাধিকারীও। তাঁরই বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদহের কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের ওই রেশন ডিলারকে প্রায় ৮ কোটি টাকা জরিমানা করল রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দপ্তর। সেই সঙ্গে তাঁকে দলের পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বৈষ্ণবনগর থানার সাহবানচক পঞ্চায়েতের মালতিপুরের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম নামে ওই রেশন ডিলার। মালদহ জেলা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক হাজারের বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড ছাপিয়ে দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে রেশনের খাদ্য দ্রব্য তুলে কালোবাজারে বিক্রি করতেন ডিলার। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি এই কাজ করে চলেছেন। বিষয়টি জানাজানি হতে তদন্ত হয়। দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে বলে জেলা খাদ্য সরবরাহ দপ্তর সূত্রে খবর। মালদহের জেলা খাদ্য নিয়ামক শাস্বত সুন্দর দাস বলেন, "সাহবানচকের একজনকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ভুয়ো কার্ডে পণ্য তোলার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৪ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ডিলারশিপ সাসপেন্ড করা হয়েছে।" যদিও রবিবার পর্যন্ত জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেননি ওই ডিলার।
জানা গিয়েছে, আশরাফুল ইসলাম সাহবানচক পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি। এছাড়াও কালিয়াচক ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্য তিনি। এদিন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন সাহবানচকের মালতিপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তৃণমূল নেতা তথা অভিযুক্ত রেশন ডিলার আশরাফুল ইসলামের সুবিশাল পাকা বাড়িতে তালা ঝুলছে। ডিলার কোথায় গিয়েছেন, তা পড়শিদের কেউ বলতে পারছেন না। আশরাফুলের প্রতিক্রিয়াও মেলেনি। একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।