স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে পাঁচটি বিধানসভার উপনির্বাচন ও স্থগিত রাখা দু’টি নির্বাচন দ্রুত করানোর দাবি নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে (Delhi) নির্বাচন কমিশনে যাবে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধিদল। এদিকে রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে ছয়টি পুর নিগম, দু’টি প্রজ্ঞাপিত অঞ্চল এবং ১১২টি পুরসভার ভোটের দাবিতে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপিও দাবি করেছে পুর নির্বাচনের।
কমিশনের কাছে একাধিক দাবি পেশ করতে পারে শাসকদল। যার মধ্যে অন্যতম ভোট প্রচার সময়কে কেন্দ্র করে। রাজ্যে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। এই সময়ে ভোট করিয়ে নেওয়া যুক্তিযুক্ত। শুধু পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনই নয়, দুই বিধানসভার কেন্দ্রের স্থগিত নির্বাচনও করাতে হবে। এই দাবি ইতিমধ্যে তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। নির্বাচনের কমিশনের তরফে যখন রাজ্যসভার ভোট করানোর পরিস্থিতি রাজ্যে আছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়, তখনই এই প্রশ্ন তারা তুলেছে। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ আর জঙ্গিপুরের নির্বাচন দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সে সময় করা যায়নি। পরে ১৬ মে আবার দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু তখন করোনা পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তার জন্য আর ঝুঁকি নেয়নি কমিশন।
[আরও পড়ুন: করোনাবিধি ভেঙে পার্টি করার ‘শাস্তি’, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হোটেলের পানশালা বন্ধের নির্দেশ]
সে সময়ই তৃণমূল (TMC) প্রশ্ন তোলে, এত ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কেন তবে বারবার বলার পরও শেষ ক’টি দফার ভোট একসঙ্গে করল না কমিশন। এখন রাজ্যের করোনা সংক্রমণের পজিটিভিটি রেট দুই শতাংশের কাছে। তৃণমূল এই কথা বলেই নির্বাচন করার দাবি তুলতে চলেছে। একই সঙ্গে তাদের যুক্তি, আগে স্থগিত রয়ে যাওয়া দুটি আসনের সাধারণ নির্বাচন করে নেওয়াটা সমীচীন। জিতে আসা দুই বিধায়ক তাতে রাজ্যসভায় ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন। সেই সূত্রেই একসঙ্গে বাকি থাকা পাঁচটি বিধানসভার উপনির্বাচনও হয়ে যেতে পারে। আবার বামেদের দাবি, ভোট না করিয়ে প্রশাসক বসিয়ে সংসদীয় ব্যবস্থাটাকেই শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত ভোট করিয়ে নির্বাচিত বোর্ডের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হোক।
মুর্শিদাবাদের দুটি আসনে নির্বাচন ছাড়াও ভবানীপুরে উপনির্বাচন (By Election) করাতে হবে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া দিনহাটা ও শান্তিপুর কেন্দ্রের বিধায়কের পদ থেকে ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। সেখানেও উপনির্বাচন হবে। ফলাফল ঘোষণার আগেই করোনা সংক্রমণে প্রয়াত হন খড়দহের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। প্রয়াত হয়েছেন গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। মোট এই পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন করাতে হবে।