সন্দীপ চক্রবর্তী: ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভা ঘিরে নতুন জটিলতা। অনেক টালবাহানার পর আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভা করার অনুমতি দিয়েছিল ত্রিপুরা (Tripura) প্রশাসন। অনুমতি দেওয়ার একঘণ্টার মধ্যে তা বাতিল করল সরকার। জানানো হল, রবীন্দ্র ভবন নয়, সভা করতে হবে আস্তাবল মাঠে। তবে সভাস্থলর বদল করতে নারাজ তৃণমূল। বরং রাত জেগে সভামঞ্চ পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা
রবিবারই আগরতলায় তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম জনসভা। রবীন্দ্র ভবনের সামনের মাঠে তাঁর সভার অনুমতি নিয়ে টালবাহানা চলছিল। শেষপর্যন্ত শনিবার বিকেলে সভার অনুমতি মেলে। তার পরই সভামঞ্চ বাঁধার কাজ এগোচ্ছে জোরকদমে। সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎই অনুমতিতে বদল।
[আরও পড়ুন: কয়েক দশক রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে বিজেপি? প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মমতা]
ত্রিপুরা প্রশাসন জানায়, রবীন্দ্র ভবনের সামনে নয়, আস্তাবলের মাঠে সভা করতে হবে অভিষেককে। এমনকী, রবীন্দ্র ভবনের সামনের সভামঞ্চ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নয়া নির্দেশিকা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হঠাৎ কেন সভাস্থল পরিবর্তন করা হল, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তীব্র নিন্দা করেন। বলেন, “সভার অনুমতি প্রশাসন দিয়েছিল। তার পরই সভামঞ্চ তৈরি, নিরাপত্তার কাজ চলছিল। হঠাৎই প্রশাসনিক কর্তারা এসে বলেন এখানে সভা করা যাবে না। মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন সভামঞ্চ ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। রাতারাতি সভাস্থল কি বদল করা যায়?” তাঁর কটাক্ষ, “ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে।”
[আরও পড়ুন: অভিষেককে আটকানোর চেষ্টা? বাংলা থেকে ত্রিপুরায় গেলে RT-PCR রিপোর্ট বাধ্যতামূলক]
সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে ত্রিপুরার মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূলের নেতা, ছাত্রনেতৃত্ব। বারবার পুলিশ প্রশাসনের বাধা সত্ত্বেও সেখানে নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি চলছে। বেশিরভাগ সময়েই আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু লড়াইয়ের মাটি ছাড়তে নারাজ সকলে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhihek Banerjee) ২ বার ত্রিপুরায় গিয়েছেন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতেও। আর ২ বারই তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। রবিবার ফের তাঁর যাওয়ার কথা। আগরতলায় বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। তবে তার আগে এবার অভিষেককে বাধা দিতে ভিন্ন কৌশল নিল সে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। এমনই অভিযোগ তৃণমূল শিবিরের।