সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২ জানুয়ারি পাণ্ডবেশ্বরে মহিলা তৃণমূলের (TMC) সাংগঠনিক সভা। মূল বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখবেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, বর্তমান মেয়র দিলীপ অগস্তি। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে পশ্চিম বর্ধমানের সমস্ত নেতা-নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রে চমকপ্রদভাবেই নাম নেই পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির। আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া গুঞ্জন।
জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) নাম কেন নেই আমন্ত্রণ পত্রে? যদিও সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন খোদ জিতেন্দ্রই। তাঁর দাবি, “আমি একসময় দল ছেড়ে দিয়েছিলাম। আবার দলে ফিরেছি ঠিকই। তবে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আমার ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। এখনও আমাকে তাঁরা বিশ্বাস করতে পারছেন না। আমার কাজের মাধ্যমে পুরনো সম্পর্ক আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির সঙ্গে আমার নীতি-আদর্শ মেলে না’, গেরুয়া শিবিরে যোগের জল্পনা ওড়ালেন অরূপ রায়]
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে রাজনৈতিক কারণে আসানসোল পুরসভাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) একটি চিঠি লিখেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। লেখেন, কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের ২০০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে আসানসোল। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের টাকাও তাঁরা পায়নি বলেই অভিযোগ। তাঁর কথায়, রাজনৈতিক কারণেই কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের টাকা নিয়ে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে। যার জেরে আদতে ক্ষতি হয়েছে আসানসোলের।
পুরমন্ত্রীকে পাঠানো জিতেন্দ্র তিওয়ারির চিঠিটি টুইট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। জিতেন্দ্রকে চিঠির প্রসঙ্গে সমর্থনও করেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে হাজারও অসন্তোষ শেষে বর্তমানে তৃণমূলে আছেন বলেই সাফ জানিয়ে দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। এরপর যদিও আবার ফেসবুকে ইঙ্গিতবহ পোস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে। দিনকয়েক আগে যে হোটেলে বিজেপি নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন সেখানে সপরিবারে হাজির হতে হতে দেখা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। তারপরই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ যাওয়ার ফলে রাজনৈতিক মহলে নয়া জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে।