সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হালিশহরে বিজেপি (BJP) বুথ সভাপতি খুনের ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও জারি রাজনৈতিক চাপানউতোর। সৈকত ভাওয়ালকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ধৃতদের রবিবার বারাকপুর আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আর তারপরই বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ, পুলিশ তাদের হেফাজতেই নিতে চায়নি। তাঁর দাবি, এতেই স্পষ্ট যে পুলিশ রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছে। এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের প্রতিক্রিয়া, ”খুন, হিংসার রাজনীতি বিজেপি করে। তৃণমূল (TMC) হিংসা সমর্থন করে না। আমরা গান্ধীবাদী দল।”
শনিবার সন্ধেবেলা ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযানে’ বেরিয়ে দুষ্কৃতী হামলার মুখে পড়ে প্রাণ হারান হালিশহরে বিজেপির বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়াল। বাঁশ, রড, হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ময়নাতদন্তের পর রবিবার বিকেলে তাঁর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। ছেলের এমন ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখে শিউরে ওঠেন পরিজনরা। কান্নাকাটিতে ভারী হয়ে ওঠে সৈকতের পাড়ার পরিবেশ। প্রতিবেশীরাও ভিড় করেন তাঁর বাড়িতে। এলাকার চটপটে, তরুণ ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে বিস্ময় কাটছে না তাঁদেরও। সৈকতের দেহ বাড়িতে পৌঁছনোর কিছুক্ষণ আগেই তাঁর বাড়িতে যান বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিকেলে বীজপুর থানার ঘেরাও করেন বিজেপি সমর্থকরা, স্লোগান তোলেন। দু’পক্ষের অভিযোগ-পালটা অভিযোগে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
[আরও পড়ুন: টাকা পাচার করতে গিয়ে হাওড়া স্টেশনে আটক যুবক, ব্যাগ খুলতেই মিলল ২৪ লক্ষ নগদ]
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করেন, পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। তাই এই খুনের ঘটনায় ধৃতদের আদালতে পেশ করার পর হেফাজতেই চাইল না। প্রায় একই অভিযোগে সরব বিজেপির অন্যান্য নেতাও। কৈলাস বিজয়বর্গীর (Kailash Vijayvargiya) দাবি, পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এদিকে, শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর পালটা দাবি, পশ্চিমবঙ্গে নয়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় যেখানকার বাসিন্দা, সেখানে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। ফিরহাদের বক্তব্য, ওখানে একটা রাজনৈতিক সমস্যা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে, কারা দায়ী। সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন যে, তৃণমূল হিংসা, হানাহানি কখনওই সমর্থন করে না। তারা গান্ধীর নীতিতে বিশ্বাসী। বরং হিংসার রাজনীতি করে বিজেপিই।