সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলীয় সিদ্ধান্তে পদ গেলেও কোনও আপত্তির জায়গা থাকবে না পঞ্চায়েতে তৃণমূলের (TMC) টিকিটে জয়ী প্রার্থীদের। এমনকি, এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আইন-আদালতে গ্রাহ্য হবে না। দলীয় প্রার্থীদের এমনই অঙ্গীকার পত্রে সই করিয়ে নিচ্ছে শাসকদল। তৃণমূলের বক্তব্য, এর ফলে যদি কোনও পঞ্চায়েত সদস্য বা জনপ্রতিনিধি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে অনায়াসেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া যাবে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফে রাজ্যজুড়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ীদের এই অঙ্গীকারপত্রে সই করানোর কাজ শুরু হয়েছে। বোর্ড গঠনের পাশাপাশি চলছে এই অঙ্গীকারপত্রে সই করানোর কাজও। যাতে স্পষ্ট প্রার্থীরা ঘোষণা করছেন, দল যদি কোনও কারণে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়, তাহলে তাঁরা আপত্তি করবেন না। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, যতই অঙ্গীকারপত্র বলা হোক, এটা প্রকারান্তরে রাজনৈতিক মুচলেকা।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, টানা ৩ বছর ধরে ব়্যাগিংয়ের শিকার পড়ুয়া!]
ওই অঙ্গীকারপত্রে বলা হয়েছে, “জেলা পরিষদ/পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য-সদস্যা হিসেবে আমি নির্বাচিত হয়েছি। আমি এই অঙ্গীকার করছি যে, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়ণে তৃণমূলের দলনেতার নির্দেশ মতো সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এবং দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করব। আমাকে অযোগ্য বিবেচনার জন্য এবং সদস্যপদ বিলোপের জন্য দলনেতা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমার কোনও আপত্তি থাকবে না বা আমার কোনও অভিযোগ আইন-আদালতে গ্রাহ্য হবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘গুরুত্ব দেয়নি তৃণমূল’, অধীরের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন ফিরহাদের জামাই]urn
আসলে ভোটের আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ঘোষণা করেছেন, কোনও পঞ্চায়েত সদস্য যদি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকেন, তাহলে তিন মাসের মধ্যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। অভিষেকের সেই ঘোষণা কার্যকর করার এটিই প্রাথমিক ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।