ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayet Election) পাখির চোখ করে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই লক্ষ্যে সোমবার বিকেল থেকেই তিনি টানা ৬০ দিনের কর্মসূচিতে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন। কোচবিহার (Cooch Behar)থেকে শুরু হচ্ছে নতুন কর্মসূচি। এরই আরেকটি অংশ হিসেবে অভিষেক জানিয়েছিলেন, নিজ এলাকায় প্রার্থী নিয়ে গ্রাম বাংলার মানুষের মতামত জানতে রাজ্যজুড়ে গোপন ব্যালটে ভোট নেওয়া হবে। সেই ‘গণভোট’ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এবার কমিটি গড়ল তৃণমূল (TMC)। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে চেয়ারম্যান করে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি গঠন করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। যাদের কাজ মূলত তিনটি –
- গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা
- ভোটার তালিকা তৈরি
- নির্বাচনী আধিকারিক ও সহ নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়োগ করা
আজ, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এই নির্বাচন কমিটির প্রথম ভারচুয়াল বৈঠক বসবে।
[আরও পড়ুন: বকেয়া থাকায় চা দিতে অস্বীকার দোকানির, রাগের মাথায় কুপিয়ে খুন! গ্রেপ্তার ক্রেতা]
এদিনের ঘোষণা অনুযায়ী, রাজ্য নির্বাচন কমিটি ও আঞ্চলিক নির্বাচন কমিটি – এই দুয়ের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি গঠিত হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi)। রয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, দোলা সেন, নাদিমুল হক, শান্তনু সেন, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, প্রতিমা মণ্ডল, বুলুচিক বরাইক, বিবেক গুপ্তা, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিরাম মাহাতো, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, হুমায়ুন কবীর, এবং বীরেন্দ্রনাথ টুডু। এই ২২ সদস্যের কমিটি গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া (Election process) তদারকি করবে। প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকেও রাজ্য নির্বাচন কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিটির আওতায় রয়েছে আটটি জোনাল কমিটি –
জোন ১
- কোচবিহার, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি
- কমিটিতে থাকছেন দশজন – অভিজিৎ দে ভৌমিক, পার্থপ্রতিম রায়, অর্ঘ্য রায় প্রধান, পাপিয়া ঘোষ, প্রকাশ চিকবরাইক, গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, প্রসেনজিৎ কর, মহুয়া গোপ, খগেশ্বর রায় ও চন্দন ভৌমিক।
জোন ২
- উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ
- কমিটিতে ১১ জন – গোলাম রব্বানি, কানাইয়ালাল আগরওয়াল, গৌতম পাল, বিপ্লব মিত্র, অম্বরীশ সরকার, মৌসম নুর, আবদুর রহিম বক্সি, খলিলুর রহমান, অপূর্ব সরকার, শাওনি সিংহরায় ও শেখ হাসানুজ্জামান।
জোন ৩
- পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম
- কমিটিতে ১১ জন – মলয় ঘটক, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, প্রদীপ মজুমদার, শম্পা ধাড়া, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, অলোক মাঝি, খোকন দাস, চন্দ্রনাথ সিনহা, অসিত মাল, অভিজিৎ সিংহ (রাণা) ও ত্রিদিব ভট্টাচার্য।
জোন ৪
- ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া
- কমিটিতে ১১ জন – দেবনাথ হাঁসদা, দুলাল মুর্মু, বিরবাহা হাঁসদা, সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সুশান্ত মাহাতো, সৌমেন বেলথরিয়া, জ্যোৎস্না মাণ্ডি, অরূপ চক্রবর্তী, শুভাশিস বটব্যাল, সুজাতা মণ্ডল ও শ্যামল সাঁতরা।
জোন ৫
- পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর
- কমিটিতে ১০ জন – সৌমেনকুমার মহাপাত্র, বিপ্লব রায়চৌধুরী, তরুণ জানা, তরুণ মাইতি, সুপ্রকাশ গিরি, সোমনাথ বেরা, অজিত মাইতি, শ্রীকান্ত মাহাতো, আশিস হুদাইত, সুজয় হাজরা।
জোন ৬
- হাওড়া ও হুগলি
- কমিটিতে ১০ জন – কল্যাণ ঘোষ, অরূপ রায়, অজয় ভট্টাচার্য, অরুণাভ সেন (রাজা), পুলক রায়, অরিন্দম গুঁই, অসীমা পাত্র, তপন দাশগুপ্ত, মনোরঞ্জন ব্যাপারি ও রামেন্দু সিনহা রায়।
জোন ৭
- শুধুমাত্র নদিয়া জেলা
- কমিটিতে ১০ জনের কমিটিতে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, নাসিরুদ্দিন আহমেদ, সুশান্ত মণ্ডল, উজ্জ্বল বিশ্বাস, শুভঙ্কর সিংহ (জিষ্ণু), ব্রজকিশোর গোস্বামী, তাপস মণ্ডল ও কৌশিক ঘোষ।
জোন ৮
- উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা
- কমিটিতে ১২ জন – তাপস রায়, ড. কাকলি ঘোষদস্তিদার, সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ দাস, পার্থ ভৌমিক, সব্যসাচী দত্ত, শুভাশিস চক্রবর্তী, জয়দেব হালদার, দিলীপ মণ্ডল, শওকত মোল্লা, যোগরঞ্জন হালদার ও শংকরকুমার নস্কর।