ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গোয়ার পর এবার ত্রিপুরাতেও (Tripura) রাজ্য কমিটি ঘোষণা করল বাংলার শাসকদল তৃণমূল (TMC)। সে রাজ্যে দলের ইনচার্জ বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। রাজ্য সভাপতি হলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক। এছাড়া ৬ সদস্যকে মাথায় রেখে এক রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে। মোট সদস্য সংখ্যা ১৩২। শুক্রবার তৃণমূলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে এই কমিটি।
AITC Press Release_Tripura Pradesh Trinamool Congress State Committee_29Apr’22
গত বছর পুরসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় লড়াইয়ের মাটিতে নেমেছিল তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে লড়াইয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল, আরও বড় লক্ষ্যে এগোচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এবার তিনি তৈরি করে দিলেন রাজ্য কমিটি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগেই দেওয়া হয়েছিল ত্রিপুরার দায়িত্ব। তিনি বেশ কয়েকবার সেখানে গিয়েছেন দলীয় কর্মসূচি নিয়ে। এবার তাঁকেই ইনচার্জ করা হল। রাজ্য সভাপতি হলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক। তিনি দলবদল করে তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই ঘাসফুল শিবিরের বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছেন। এছাড়া রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন –
- সুবল ভৌমিক
- সুস্মিতা দেব
- আশিস দাস
- আশিসলাল সিং
- ভৃগুরাম রিয়াং
- মামন খান
[আরও পড়ুন: জ্বলছে না আলো, চলছে না পাখা! তীব্র দাবদাহের মধ্যেই ১৪ দিন বিদ্যুৎহীন গ্রাম]
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল ১৩২ জন সদস্যের একটি রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেছে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নির্বাচনী লড়াইকে সামনে রেখে তৈরি হয়েছে। ১৩২ সদস্যের রাজ্য কমিটিতে ৮ জন সহ-সভাপতি, ৫ জন সাধারণ সম্পাদক, ১৪ জন সচিব, ৭ জন যুগ্ম সম্পাদক এবং ৭২ জন কার্যনির্বাহী সদস্য রয়েছেন। শুক্রবার ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূল যুব কমিটি। যার নেতৃত্বে থাকছেন রাজ্য সভাপতি শান্তনু সাহা। এদিকে, মহিলা সংস্থার নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি (মহিলা) পান্না দেব।
[আরও পড়ুন: ৪০ এলাকার নাম বদল চায় দিল্লি বিজেপি, ভাবনায় হাউজ খাস, শাহিবাবাদও]
রাজ্যের মহিলা-কেন্দ্রিক সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য, কমিটিতে ২৭ জন মহিলা সদস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, যারা সর্বদা অনগ্রসর শ্রেণির উন্নতির জন্য কাজ করেছে, তারা রাজ্য কমিটিতে ১৬ জন তফসিলি জাতি সদস্য, ১৮ জন তফসিলি উপজাতি এবং ৩২ জন ওবিসি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ত্রিপুরার জন্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নবগঠিত কমিটিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ১৪ জন প্রতিনিধিও রয়েছেন।