সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবার মেঘালয়ে (Meghalaya Assembly Election) বিধানসভা নির্বাচন। এই মুহূ্র্তে প্রচারে ব্যস্ত সব দলই। বাদ নেই ঘাসফুল শিবিরও। রাজ্যে সরকার গড়তে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বুধবারই এখানে জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে একটি ডিজিটাল কাউন্টডাউন ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে দলীয় কার্যালয়ে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২ মার্চ ওই ঘড়ি মানুষকে মনে করিয়ে দেবে রাজ্যের অন্ধকার দিনের সমাপ্তি ঘটেছে।
ঘড়িটি দেখতে পার্টির প্রতীকের মতো। জোড়া ফুল ও তিনটি পাঁপড়ি রয়েছে এতে। রয়েছে দলীয় স্লোগানও। ঘাসফুল শিবিরের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ এমডিএ সরকারের সমাপ্তির কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ঘড়ি এনপিপির জোটসঙ্গীদেরও সেকথা মনে করিয়ে দেবে। বিরোধী নেতা ও তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ”সময় এগিয়ে আসছে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই যেদিন মেঘালয় দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের হাত থেকে মুক্ত হয়ে ফের নিজের অতীত গৌরব ফিরিয়ে এনে এক সুন্দর রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।” এদিকে মেঘালয়ে শেষ মুহূর্তে প্রচার তুঙ্গে। এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে প্রচারের ঝড় তুলতে চাইছে তৃণমূল। আর তাই বুধবার মমতা-অভিষেকের জোড়া বৈঠক।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরপ্রদেশে হচ্ছে কী?’, গান গেয়ে বিপাকে গায়িকা, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে পেলেন নোটিস]
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেঘালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ তুরা জেলায় পিএ সাংমা স্টেডিয়ামে তাঁর জনসভা হওয়ার কথা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সেই জনসমাবেশ আয়োজনের অনুমতি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ও এনপিপি নেতা কনরাড কে সাংমা। তাঁর দাবি, বিজেপির অভিযোগ ভুয়ো। কেননা সভার অনুমতি দেওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের। তাঁরও বেশ কিছু জনসভাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেই দাবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। তবে মোদিকে ওই স্টেডিয়ামে সভার অনুমতি না দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত অ্যালটগ্রে স্টেডিয়ামে সভা করার অনুমতি পেয়েছেন মোদি। বিসিসিআইয়ের ওই স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীকে জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে পশ্চিম গারো পর্বত জেলা প্রশাসন।