সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই রণকৌশল ঠিক করতে মাঠে নেমেছে শাসকদল। কেন্দ্র ধরে ধরে শুরু হয়েছে সমীক্ষা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) ইতিমধ্যেই নিজের কাজ সেরেছেন গোড়া থেকে সমীক্ষা করে। সেইমতো প্রয়োজনীয় রদবদল করা থেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে পরামর্শ দেওয়া – সবই চলছে নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা মেনে। সেই জায়গা থেকে উঠে এসেছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তার মধ্যে অন্যতম উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের হারানো জমি পুনরুদ্ধার। জেলা স্তরের সমীক্ষা বলছে, বিশেষত জলপাইগুড়ি জেলায় নতুন মুখ তুলে আনা খুব প্রয়োজন। যাঁরা জনসমর্থন টানতে সক্ষম। টিম পিকে’রও একই মত।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বেশ ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। সবকটি লোকসভা কেন্দ্রেই বিজেপির জয়জয়কার। এই আবহে দলবদলের পাল্লাও ভারী হয়েছে। এতদিন তৃণমূল থাকা নেতা, কর্মী এমনকী বিধায়করাও নাম লিখিয়ে ফেলেছেন গেরুয়া শিবিরে। জমি ক্রমশ দুর্বল হয়েছে শাসকদলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দলের ত্রুটিবিচ্যুতি বিশ্লেষণ করেছেন, সেইমতো পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে তা ঠিকমতো প্রয়োগ করতে না পারলে, ফলাফল শূন্যই থেকে যাবে।
[আরও পড়ুন: পাঁচদিন পর ফের ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, স্বস্তি দিয়ে কমল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা]
এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলায় দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে, দলবদলের মাঝে তুলে আনতে হবে তরুণদের। যাতে সেই নতুন মুখ আমজনতার ভরসা জোগাতে পারে। শুধু দলের একনিষ্ঠ কর্মী হলেই হবে না, তৃণমূল স্তরে তাঁর নিজস্ব একটা পরিচিতি, জনপ্রিয়তা থাকতে হবে। তাহলেই প্রার্থী হিসেবে তাঁর সাফল্য আশা করা যায়। সেইমতো জেলা নেতৃত্ব প্রস্তাব পাঠিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। টিম পিকের সমীক্ষাও অবশ্য একই কথা বলছে। তাদের মত, উত্তরবঙ্গে গেরুয়া দাপট ধুলিসাৎ করতে ঘাসফুল শিবিরের খোলনলচে বদলানো প্রয়োজন। যুব প্রজন্মকে তুলে আনতে হবে। লড়াইয়ের মাঠে এগিয়ে দিতে হবে তাঁদেরই। তাই সেইমতো কাজের কথা ভাবা হচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এখনও বেশ খানিকটা পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন বলে খবর দলীয় সূত্রে। তবে গতিপ্রকৃতি বলছে, এবারের নির্বাচনে সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গ থেকে বেশ কয়েকটি নতুন প্রার্থীকে দেখা যেতে পারে ঘাসফুল শিবিরের সৈনিক হিসেবে।