ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘দিদিকে বলো’র পর ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা তৃণমূলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সোমবার নজরুল মঞ্চে দলীয় বৈঠকের আগে নয়া কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে কর্মসূচি।
আগামী দু’মাস ধরে রাজ্যজুড়ে চলবে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kabach) কর্মসূচি। শুরু হবে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে সাড়ে ৩ লক্ষ দলীয় প্রতিনিধি ‘দিদির দূত’ হিসাবে নির্বাচিত। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাড়ে ৩ লক্ষ দলীয় প্রতিনিধি মোট ২ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছবেন। ‘দুয়ারে সরকার’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘সবুজসাথী’, ‘কন্যাশ্রী’র মতো রাজ্য সরকারের ১৫টি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন ‘দিদির দূতে’রা।
[আরও পড়ুন: রাতেই ‘সূর্যোদয়’! তৃণমূলের প্রয়াসে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর বিদ্যুৎ পেল হলদিয়ার ২টি গ্রাম]
আগামী ২ মাস ধরে রাজ্যের প্রত্যেকটি গ্রামে যাবেন ৩২০ জন নেতা। ১০ দিন করে নির্দিষ্ট অঞ্চলে রাত্রিযাপন করবেন তাঁরা। কোথায় যেতে হবে, কার সঙ্গে দেখা করতে হবে – সে সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হবে দলের তরফেই। শুনবেন স্থানীয়দের অভাব অভিযোগের কথা। সেই অনুযায়ী নেওয়া হবে ব্যবস্থা। দলীয় নেতাদের রাত্রিবাসের পর ওই গ্রামে যাবেন ‘দিদির দূতে’রা। আদৌ সমস্যা সমাধান হল কিনা, তাঁরা তা খতিয়ে দেখবেন। এছাড়া এদিন ‘দিদির দূত’ নামে একটি অ্যাপও প্রকাশ করা হয়েছে। প্লে স্টোর থেকে খুব সহজেই ডাউনলোড করা যাবে নয়া অ্যাপ। নজরুল মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির সামনে দাঁড়িয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির লোগো প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির নামটি তৃণমূলের আইটি সেলের রাখা।
চলতি বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বাড়ি বাড়ি যেকোনও প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য। তাই জনসংযোগের উপর দেওয়া হচ্ছে বিশেষ জোর। এর আগে বারবার জনসংযোগ বৃদ্ধির কথা বলেছিলেন মমতা ও অভিষেক। তৃণমূলের নয়া কর্মসূচিরও যে লক্ষ্য মূলত জনসংযোগ বৃদ্ধি এবং প্রত্যেক রাজ্যবাসীর কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।