ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিক্রম রায়: দিনহাটা থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু অভিষেকের। সোমবারই সন্ধেয় একেবারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেও কোচবিহারের বামনহাট এলাকায় চোখে পড়ল একই দৃশ্য়। কখনও তিনি তাঁবুর মধ্যে বসে কথা বললেন বিএসএফের অত্যাচারে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে। তো কখনও হেঁটে ঘুরলেন গ্রাম। কারওর সেলফি তোলার আবদার মেটালেন তো কারওর কাছ থাকে সংগ্রহ করলেন তাঁর উদ্দেশে হাতে লেখা চিঠি। কাউকে আবার আশ্বাস দিয়ে বললেন, দিদি আছে তো, সমস্যা মিটিয়ে দেবেন। সবমিলিয়ে সকাল থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ঘিরে কার্যত উৎসবের মেজাজ দিনহাটায়।
কথা মতো এদিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ বামনহাটায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁবুতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিএসএফের গুলিতে মৃত প্রেমকুমার বর্মনের পরিবার। তাঁর বাবা-মা। তাঁবুতে বসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। দেখা করেন বিএসএফের মারে মৃত মৎস্যজীবী মোজাফফর হোসেনের স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে। মৃত মৎস্যজীবীর স্ত্রী বিলকিস খাতুনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়েও। বিলকিসের কথায়, “মেয়েকে মানুষ করতে জীবিকার প্রয়োজন। তার ব্যবস্থার আরজি জানাব।” সূত্রের খবর, তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
[আরও পড়ুন: বাড়ি গিয়ে তল্লাশির এবার নিজাম প্যালেসে তলব, তেহট্টের বিধায়ককে সমন পাঠাল CBI]
এরপর তাঁবু থেকে বেরিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে ঘোরেন অভিষেক। হাসি মুখে সাধারণ মানুষের আবদান মেটান। শোনের অভাব-অভিযোগ। অনেকে তাঁর কাছে আবাস যোজনার টাকা না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। এমনই এক পরিবারকে অভিষেকের আশ্বাস, চিন্তা করবেন না। দিদি আছেন, দিদি করে দেবেন। তবে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথাও তুলে ধরেছেন। এরপর স্থানীয় মাধাইখাল কালী বাড়ি পরিদর্শন করেন। পুজোও দেন। সবমিলিয়ে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির শুরুতেই অভিষেক বুঝিয়ে দিলেন, ‘আমি তোমাদেরই লোক।’