শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল রায়গঞ্জের শিল্পীনগরের পুরনো জাতীয় সড়ক এলাকা। শুক্রবার মেয়েকে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছনোর জন্য বাইকে যাচ্ছিলেন বাবা। আচমকাই উলটোদিক থেকে আসা একটি ডাম্পারের ধাক্কায় বাইক থেকে পড়ে মৃত্যু হল বাবার। গুরুতর জখম অবস্থায় মেয়ে ভর্তি হাসপাতালে। এই দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। ডাম্পারটিতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেন। রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনা শুক্রবার দুপুরের। রায়গঞ্জের চণ্ডীতলার বাসিন্দা বছর পঁয়ষট্টির সুভাষ দে সরকার মেয়ে সুস্মিতাকে নিয়ে তাঁর কর্মস্থলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। সুস্মিতা দে সরকার স্থানীয় এক নার্সিংহোমের নার্স। মেয়েকে সেখানে পৌঁছে দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয় সুভাষ দে সরকারের। মেয়ে সুস্মিতা জখম হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। এই ঘটনার পর ব্যাপক ধুন্ধুমার শুরু হয় এলাকায়। মৃতের ছেলে শুভজিৎ রায়গঞ্জ আদালতের আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ, ''শিল্পীনগরের এই রাস্তা সবসময়ে খুব ব্যস্ত থাকে। কিন্তু এখানে কোনও স্পিড ব্রেকার নেই, কোনও পুলিশ কিয়স্কও নেই। তা থাকলে এই বাইক দুর্ঘটনায় আমার বাবার মৃত্যু হতো না।''
এই দুর্ঘটনার পর এলাকার পরিস্থিতি এত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ঘাতক ডাম্পারটিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন রায়গঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিশ্রুতি দেন, দু-একদিনের মধ্যেই এখানে স্পিড ব্রেকার বসানো হবে। পুলিশ কিয়স্কও করে দেওয়া হবে। যাতে ট্রাফিক ঠিকমতো সামলানো সম্ভব হয়। তাঁর সেই আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।