সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: দিনভর টানাপোড়েনের পর রবিবার বিকেলে অবশেষে জামিন পেয়েছেন ধৃত ১৪ তৃণমূল নেতা। এদিন রাতেই তাঁদের সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় ফিরছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তবে কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) -সহ বেশ কয়েকজন নেতা থাকবেন বিপ্লব দেবের রাজ্যে। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার ফেরার কথা তাঁদের। এসবের মাঝে ত্রিপুরার অশান্তি নিয়ে টুইটে ষড়ষন্ত্রের অভিযোগ করলেন বিপ্লব দেব (Biplab Kumar Deb)।
তৃণমূলের যুবনেতাদের গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে রবিবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ত্রিপুরা (Tripura)। খোয়াই থানায় কার্যত রণং দেহি মেজাজে দেখা গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। দাবি উঠেছিল ধৃতদের মুক্তির। কিন্তু জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হওয়ায় ধৃত নেতাদের তোলা হয় আদালতে। দীর্ঘসময় থানাতেই বসে ছিলেন অভিষেক। সেখান থেকেই নজর রাখছিলেন পরিস্থিতির উপর। দলের নেতারা জামিন পেতেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন অভিষেক। ক্ষোভ উগড়ে দেন বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) বিরুদ্ধে। একইভাবে জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্যও ত্রিপুরা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এভাবে তাঁদের রোখা যাবে না।
[আরও পড়ুন: বনগাঁর পুরপ্রশাসকের পাড়ায় বোমা বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম এক, তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়]
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শনিবারের হামলার ঘটনায় গুরুতর জখম তিনজন নেতাকে নিয়ে রবিবারই বিশেষ বিমানে কলকাতায় ফিরবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল আক্রান্ত নেতারা ত্রিপুরায় কোনও চিকিৎসা পাননি। তাঁদের চিকিৎসার কারণেই দ্রুত কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত। তবে কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন ও সমীর চক্রবর্তী রবিবারও থাকছেন ত্রিপুরাতেই। সোমবার দুপুর তিনটেয় সেখানে সাংবাদিক বৈঠক করবেন কুণাল ঘোষ, সমীর চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুবনেতৃত্বকে রাস্তায় আটকানো হয়। সেখানে দেবাংশু, সুদীপ ও জয়া দত্তদের উপর হামলা চলে। মাথা ফেটে যায় সুদীপ রাহার, কানে আঘাত পান জয়া দত্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত গোটা ত্রিপুরা অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। উল্লেখ্য, রবিবার তৃণমূলের লড়াই প্রসঙ্গে টুইট করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। লিখেছেন, “ত্রিপুরার উন্নয়নের গতিকে রুখে দিতে সক্রিয় একটা অংশ, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে রাজ্যে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু ত্রিপুরার সচেতন নাগরিকগণ, ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের এই ভূমিতে কোনও ধরনের ষড়যন্ত্র স্বার্থক হতে দেবেন না।”