ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মাঝে মাত্র তিন দিন। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন (Bhabanipur By-Elections )। তার আগে রবিবার পদ্মপুকুরের নির্বাচনী সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, তাঁকে আটকাতে ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করেও লাভ হবে না। বিপ্লব দেবের রাজ্যে গণতন্ত্র স্থাপন করবেই তৃণমূল। দলনেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে তিনি বললেন, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না জিতলে গোটা ভারত বিপদের মুখে পড়বে। সঠিক সময়ে ভোট দেওয়ার জন্য প্রত্যেককে পরামর্শ দিলেন। বললেন, এক লক্ষ ভোটে জেতাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিনের সভার শুরু থেকেই রণং দেহি মেজাজে দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। ত্রিপুরায় (Tripura) আক্রমণ, বাধা প্রসঙ্গে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “আমি যাতে ত্রিপুরা ঢুকতে না পারি তাই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দেশের সব থেকে বড় দলের কেন এত ভয়? ১৪৪ ধারা তুললে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমি ত্রিপুরায় যাব। ওখানে ঘাসফুল ফুটবেই।” শুধু ত্রিপুরা নয়, গোয়া-সহ একাধিক রাজ্যে তৃণমূল সরকার গঠনের কথা বললেন তিনি।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: ভবানীপুরে সিপিএমের ভোটপ্রচারে বাধার অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি সুজনের]
এদিন সিবিআই-ইডি প্রসঙ্গেও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, “ওদের উন্নয়ন নিয়ে কোনও কথা নেই। ওরা শুধু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। বিধানসভা ভোটের আগে বহিরাগত নেতাদের পাঠাচ্ছিলেন। তাতে কোনও লাভ হয়নি, মুখ থুবড়ে পড়েছে। এবার এজেন্সি পাঠাচ্ছে। আমাকে ৫ টা চিঠি পাঠিয়েছে। ৫০০ পাঠালেও লাভ নেই। মেরুদন্ড বিক্রি করব না।”
এদিন রাজ্য বিজেপির নেতাদেরও আক্রমণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “এক বিজেপি নেতা যে গরুর দুধে সোনা পেতেন, তাঁর দিন শেষ। নতুন যিনি এসেছেন, তিনি নাটক করছেন। ওরা ভারতীয় জনতা পার্টি নয়, যাত্রা পার্টি। আমাদের কাটছাঁটগুলো নিয়ে ওরা ভাল থাকুন।” ভোট মিটলেও প্রায়শই রাজনৈতিক অশান্তিতে উত্তপ্ত হয় অর্জুন সিংয়ের গড় ভাটপাড়া। সেই প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, “ভবানীপুরকে ভাটপাড়া হতে দেব না।”