গোবিন্দ রায়: এ যেন ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল! জমির মালিক দেখতে পান, জমি আর তাঁর নামে নেই। মালিকানা চলে গিয়েছে অন্য একজনের নামে। উত্তর ২৪ পরগনা সন্দেশখালি কাণ্ডের ছায়া এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। নথি জালিয়াতি করে ৫২৭ বিঘা জমি নিজের সংস্থার নামে করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সোনারপুরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি আবার এলাকায় তৃণমূল নেতা বিসেবে পরিচিত।
শুধু তাই নয়, ওই সমস্ত জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ রেজাউল সরদার নামে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মামলায় স্থানীয় বিএলএলআরও-কে অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের স্পষ্ট নির্দেশ, বিএলএলআরও যেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন।
[আরও পড়ুন: ‘হিংস্র তারাই, যারা…’, রাহুলের ‘হিন্দু’ মন্তব্যে ময়দানে পয়গম্বর বিতর্কে ‘বরখাস্ত’ নূপুর]
মামলায় মামলাকারী শৈবাল ভট্টাচার্যের আইনজীবী অমিত হালদার জানান, এক বছরের মধ্যে ওই এলাকার ১০০ জনের বেশি তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষের ওই জমি নথি জালিয়াতি করে নিজের নামে করে নেন রেজাউল সরদার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে জমির খাজনা দিতে গিয়ে। যা নিয়েই মামলা গড়ায় হাই কোর্টে। জনস্বার্থ মামলায় আইনজীবীর দাবি, ওই তৃণমূল নেতার একটি সংস্থা রয়েছে, প্রথমে নথি জালিয়াতি করে সেই সংস্থার নামে জমি করা হয়। পরে সেখান থেকে এই জমি বিক্রি করা হয়। ঘটনায় প্রথমে সোনারপুর থানার পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় পরে অভিযোগ দায়ের করা হয় জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে। আদালতে রাজ্যের দাবি, ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।