সম্যক খান ও ভাস্কর মুখোপাধ্যায়: এলাকায় ফিরতেই ফের স্বমেজাজে সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh)। শালবনিতে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “আক্রমণ করলে হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।” সুশান্ত ঘোষের এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। সিপিএম নেতাকে পালটা দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
দীর্ঘ ন’বছর পর গত ডিসেম্বরে একেবারে নায়কের মতো ঘরে ফেরেন একদা সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা সুশান্ত ঘোষ। আর ফিরেই হুঙ্কার ছাড়েন তিনি। একুশের ভোটের আগে নব উদ্যমে ফের কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশও দেন। ভোট ঘোষণা হতেই পুরনো মেজাজে দেখা গেল সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে। শালবনি থেকে তিনি বলেন, “যার ক্ষমতা হবে বামকর্মীদের গায়ে হাত দেওয়ার, ঘর থেকে তুলে এনে হাত-পা ভেঙে আমি চিকিৎসা করাব।” ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাঁর এই হুমকির ভিডিও। সিপিএম নেতার এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধিরা। অনুব্রত মণ্ডল কটাক্ষের সুরে বলেছেন, “উনি হয়তো ভাবছেন এটা ২০০৮-০৯ সাল, বামেদের রাজত্ব। কিন্তু ভুল ভাবছেন। আগে বহু লোকের হাত পা ভেঙেছেন। তাই এখনও তেমনটা করবেন ভাবছেন। কিন্তু সেটা হবে না। ” নিজের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুশান্তবাবু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বামকর্মীদের উপর অত্যাচার চলছে। সেই কারণে বলেছি, মারব আবার চিকিৎসা করিয়ে ঘরেও ফেবার।”
[আরও পড়ুন: জিতেন্দ্রকে সমর্থন নয়, নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর হুমকি দিয়ে দেওয়াল লিখন বিজেপির একাংশের]
উল্লেখ্য, এদিন সুশান্ত ঘোষকে কটাক্ষের পাশাপাশি একাধিক ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দাবি করেছেন, বাংলার মানুষ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই। কারণ, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যের কোনও প্রকল্পের সিদ্ধান্ত পাবেন না আমজনতা। পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রতিটি বাড়িতে ৫ জন করে জওয়ান পাঠালেও সমস্যা নেই। খেলা হবেই!