ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ১৭ দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। আপাতত কয়েকদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের। চার সপ্তাহ অর্থাৎ এক মাস পর ফের হাসপাতালে আসতে হবে তাঁকে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখনও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে তৃণমূল নেতার। এছাড়া ক্লস্টোফোবিয়াতেও ভুগছেন তিনি। তাঁর দু’টি করোনারি আর্টারিতে ব্লকেজ ধরা পড়েছে। সূত্রের খবর, একটি আর্টারিতে ৭০শতাংশ ব্লকেজ। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে আপাতত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তৃণমূল নেতা। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো নানা ওষুধ খেতে হবে তাঁকে। থাকতে হবে বিশ্রামে। চার সপ্তাহ পর ফের হাসপাতালে আতে হবে তাঁকে। তবে তার আগে মায়োর্কাডিয়াল পারফিউসন ইমেজিং নামে একটি পরীক্ষা হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এমন পরীক্ষা এসএসকেএম হাসপাতালে আদৌ করা সম্ভব কি না তা স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: দম্পতি পরিচয়ে রাত্রিবাস! তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ পরকীয়ায় মত্ত যুগল]
উল্লেখ্য, গরুপাচার কাণ্ডে গত ৬ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে যাওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর। তবে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে যান তিনি। তার আগের রাত থেকেই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। সে কারণে ওইদিন এসএসকেএমে যান তিনি। ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করে। তারপরই তাঁকে হাসপাতালে ভরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এক্স-রে, ইসিজি-সহ অনুব্রতর একাধিক রক্ত পরীক্ষা হয়। তাঁর হার্টে সামান্য ত্রুটি ছিল। লিভারের সমস্যাও ফের মাথাচাড়া দেয়। ডায়াবেটিসও রয়েছে তৃণমূল নেতার। কোলেস্টেরলের পরিমাণও অনেক বেশিই ছিল। সি-প্যাপ মেশিন দেওয়া হয় অনুব্রতকে। তাঁর আবার ফিশচুলার সমস্যাও ছিল। সূত্রের খবর, অণ্ডকোষের সমস্যাও ছিল অনুব্রতর। সে সমস্ত শারীরিক সমস্যা এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে আপাতত বেশ কয়েকদিন বিশ্রামে থাকতে হবে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে।
দেখুন ভিডিও: