নন্দন দত্ত, সিউড়ি: জেলমুক্তির পর সোমবার এক মঞ্চে দেখা যাবে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে? তবে কি কমল দূরত্ব? সিউড়ি দুই নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনে দুজনেই আসার সম্মতি জানিয়েছে। যাকে ঘিরে বীরভূমের রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা চরমে। কারণ, জেল থেকে জামিনের পরে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত ও জেলা সভাধিপতি কাজল শেখকে প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা যায়নি।
দলীয় দপ্তরে দুজনের সৌজন্য সাক্ষাত হয়েছে। তার পরে গত চারদিনে ৯ টি দলীয় বিজয়া সম্মিলনীতে কেষ্ট- কাজলকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। কেষ্ট ও কাজল আলাদা আলাদ সভা করেছেন। এমনকি জেলায় মহম্মদবাজারে দলীয় কর্মীর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে গেলেও একই সময়ে জেলায় বিজয়া সম্মিলনীতে কেষ্টর পাশে কাজল শেখকে দলের জনসভায় দেখা যায়নি। অন্যদিকে, প্রথমে সিউড়ি দুই ব্লকের আজকের সভা তৃণমূলের জেলা থেকে প্রকাশিত তালিকায় ছিল না। বরং প্রায় একই সময় বিকেল সাড়ে তিনটেয় সিউড়িতে সিউড়ি এক ব্লকের সভায় অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিত থাকার কথা। ফলে এই কর্মসূচি নিয়ে জটিলতা বাড়ে দলে। পুরন্দরপুরে বিজয়া সম্মেলনে অনড় থাকেন ব্লক সভাপতি নুরুল শেখ। শেষে রাজ্যের নির্দেশে দ্বিতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করে কোর কমিটি। তাতে বিকেল তিনটের সময় পুরন্দরপুরে অনুব্রত মণ্ডলের থাকার কথা। তাকে ওই পথেই সিউড়ি আসতে হবে।
তাছাড়া রাজনৈতিক জীবনে অনুব্রত মণ্ডল যে আন্দোলন শুরু করেছেন, তা ওই পুরন্দরপুরের মাঠ থেকে। সেখানে এবার বদল এনেছেন তিনি। মুরারই থেকে শুরু করেছেন বিজয়া সম্মেলন। তাই নিজের পয়া মাঠ পুরন্দরপুরে একবার অন্তত আসবেন। পাশাপাশি অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আন্দোলনের সাথী ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম এখন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। যে পরিষদের নেতা কাজল শেখ। তাই তার সহযোগীর সভায় কাজল শেখ আসবেন বলে আগেই জানিয়েছেন। বোলপুর থেকে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে নিয়ে তিনি পুরন্দরপুরে আসবেন। তবে একসঙ্গে এক মঞ্চে কেষ্ট-কাজল থাকবেন কিনা সেটাই দেখার। দলীয় সূত্রে খবর, সিউড়ি আসার পথে অনুব্রত একবার অন্তত পুরন্দরপুরে যাবেন। তিনি মঞ্চ ছাড়লে দেবাংশুর সঙ্গে মঞ্চে আসবেন কাজল। নাকি দুজনে একইসঙ্গে এক মঞ্চে থাকবেন, সেটাই এখনও দেখার। আগামীতে বীরভূম জেলা তৃণমূলের রাজনীতির স্রোত কোন খাতে বইবে তা ঠিক করবে আজকের বিকেলের সভা।