ধীমান রায়, কাটোয়া: ধার দেওয়া ২০ লক্ষ টাকা ফেরত চেয়ে ক্রমাগত চাপ। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) ফোনে খুনের হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার হলেন দলেরই নেতা (TMC Leader)। আজ দুপুরে গুসকরার স্কুলমোড় থেকে গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হুমকির কথা স্বীকার করে ধৃত প্রাক্তন কাউন্সিলরের অভিযোগ, স্ত্রীর অসুখের সময়ে তাঁর থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ফেরৎ না দেওয়ায় সেই টাকা চেয়ে হুমকি দিয়েছেন তিনি। যদিও প্রাক্তন কাউন্সিলরের থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অনুব্রত।
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। গুসকরা এলাকায় বেশ জনপ্রিয় তিনি। পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন দীর্ঘদিন। এখন সেই পদ না থাকলে জনপ্রিয়তা রয়েছে আগের মতোই। এহেন নেতার বিরুদ্ধে আউশগ্রামের এক তৃণমূল কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে নিত্যানন্দবাবু নাকি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করে ক্রমাগত খুনের হুমকি দিচ্ছেন। ফলে প্রাণসংশয়ে অনুব্রতর মতো নেতা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে গুসকরা স্কুল মোড় থেকে পুলিশ নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গুসকরা ফাঁড়িতে। এরপর সেখান থেকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গির সঙ্গে যোগ ছিল মুর্শিদাবাদে ধৃত আল কায়দা জেহাদিদের]
ঘটনা নিয়ে ধৃত নিত্যানন্দবাবুর সাফ কথা, ”কেষ্ট মণ্ডলকে স্ত্রীর অসুখের সময় ২০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলাম। বলেছিলেন, ৩, ৪ মাসের মধ্যে ফেরৎ দেবেন। বিশ্বাস করে ধার দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন তা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করছেন। আমার কাছে ধার নেওয়ার প্রমাণ আছে। তবু উনি দিচ্ছেন না। তাই হুমকি দিয়েছি। টাকা আমার ফেরৎ চাইই। পরেও টাকা চাইতে যাব।”
[আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় চরমে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সৌমিত্র খাঁ’কে কাজ করতে না দেওয়ায় ‘হুমকি’ জেলা সভাপতির!]
অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ”ওর কাজই হুমকি দিয়ে বেড়ানো। লাইসেন্স ও বিনা লাইসেন্সেও আগ্নেয়াস্ত্র আছে, আমি ওর থেকে কোনও টাকা ধার নিইনি।” তবে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তরজা শুরু হয়েছে।
ছবি ও ভিডিও: জয়ন্ত দাস।
The post ধারের টাকা ফেরত চেয়ে অনুব্রতকে খুনের হুমকি, গ্রেপ্তার গুসকরার তৃণমূল নেতা appeared first on Sangbad Pratidin.