সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহ ঘুরতেই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার ভোট প্রচারের সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী, টুইটারে এমনটাই জানিয়েছেন বাবুল। তাঁর অভিযোগ, তাঁর উপর হামলা চালানো ওই দুষ্কৃতী একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। সেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিজেপি ও কংগ্রেস দুই দলেরই যোগসাজশ রয়েছে।
টুইটারে বাবুল লিখেছেন, “গোয়ার স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতী আমার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। কংগ্রেস ও বিজেপি’র মতো দুই জাতীয় দলের আশীর্বাদেই নির্বাচনে লড়ছে ওই দলটি। কিন্তু নিরাপত্তাক্ষীদের জন্য আমি রক্ষা পেয়েছি।’’ যদিও টুইটটি পরে ডিলিট করে দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: জীবনের প্রথম আয় মোটে ২৫ টাকা, কত টাকার সম্পত্তি রেখে গেলেন লতা মঙ্গেশকর?]
এদিকে, গোয়ার ভাস্কো ডা গামায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। টুইটে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন লিখেছেন, “এ কোন গণতন্ত্র? ডবল ইঞ্জিন সরকারের সৌজন্যে এসব চলছে।” টুইটে ট্যাগ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলকেও। তৃণমূল সাংসদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ট্যাগ করে লেখেন, “এ ব্যাপারে আপনি কী বলেন, শুনতে চাই।” এর আগেও গোয়ায় তৃণমূলের পোস্টার, হোর্ডিং ইত্যাদি ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে।
এদিকে, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুর কেন্দ্রের দীনেশপুরের কাছে সুন্দরপুর গ্রামে হামলার শিকার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, বিজেপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত রাজকুমার ঠুকরালের অনুগামীরা লকেটের কনভয়ে হামলা চালায়। শ্লীলতাহানিও করা হয়। দলের এক প্রবীণ কর্মীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে খুনের চেষ্টাও করা হয় বলেও অভিযোগ। রবিবার বিকেল তিনটের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। তার প্রতিবাদে বিজেপি প্রার্থী এবং লকেট তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে পাশের একটি মন্দিরে ধরনায় বসেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি। এই ঘটনায় বিধানসভা ভোটের মুখে উত্তরাখণ্ডে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে।