সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “স্বাস্থ্যসাথী কেন্দ্রের ঘুম উড়িয়েছে”, সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বললেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। রাজ্যের প্রকল্পের সুবিধার কথা তুলে ধরে বললেন, “সকলের স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করাই লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।”
রবিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রের পিএম কিষান ও রাজ্যের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের পার্থক্য তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “কেন্দ্রের প্রকল্পের সুবিধা পাবেন মুষ্টিমেয় কিছু কষক পরিবার। কিন্তু রাজ্যের প্রকল্প প্রত্যেক কৃষকের জন্য। কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তিনি কৃষকদের পাশে ছিলেন, আছেন আর থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন তাই করেন।” এরপরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কেন্দ্রের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। আয়ুষ্মান ভারতের আগেই বাংলায় স্বাস্থ্যসাথী চালু হয়েছিল। আগে সাড়ে সাত কোটি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছিলেন। বর্তমানে আরও আড়াই কোটি মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। মোট ১০ কোটি মানুষ এর আওতায়। এই প্রকল্প বিজেপি সরকারের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘আপনি অন্যায় করেছেন, মানুষ ক্ষমা করবে না’, ভারচুয়াল সভায় মমতাকে হুঁশিয়ারি শাহর]
রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা স্বাস্থ্যসাথীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও সদ্য দলত্যাগীদের গলায় অন্য সুর। বিজেপিতে যোগ দিয়েই স্বাস্থ্যসাথীকে ‘ভাওতাবাজি’ বলে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এই প্রকল্প আসলে ভোট কার্ড। নির্বাচন মিটে গেলে কেউ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। আগে বহুবার একথা শোনা গিয়েছে প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। তিনিও বারবার দাবি করেছেন, মানুষ নয়, ভোটের স্বার্থেই এই প্রকল্প চালু করেছে সরকার।
এদিন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বলেন, “এতবড় হল যে দল থেকে, সব পেয়েছে, তাও সে দল ছেড়ে অন্য দলে। পাতা ঝড়েছে।” সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে পার্থ বলেন, “কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। অর্থ দিয়ে তৃণমূলকে কেনা যায় না।” এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘চারশো বিশ’ বলে কটাক্ষ করেন অনুব্রত মণ্ডল।