সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি সাংসদ। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও। তবে প্রশাসনিক কোনও পদে নেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তা সত্ত্বেও কেন ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি? আর কীভাবেই বা মেধাতালিকায় থাকা সকলকে দিলেন চাকরির আশ্বাস? শাসকদল তৃণমূলের দিকে একের পর এক সেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন বিরোধীরা। শনিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধীদের পালটা জবাব দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কেবলমাত্র নিয়োগ সংক্রান্ত জট কাটানোর চেষ্টায় অভিষেক এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেই সাফ জানালেন তিনি। কেন অযথা জটিলতা তৈরি করছেন, বিরোধীদের পালটা প্রশ্নও ছুঁড়ে দিলেন কুণাল।
সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “একটা জট হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি জট খোলার চেষ্টা করেন। তাতে কি সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির দুঃখ হচ্ছে? যারা প্রশ্ন তুলছেন তাদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে। অভিষেক সরকারি কোনও আধিকারিককে ডাকেননি। তা হলে সরকারি বৈঠক অভিষেক করলেন কী করে, এ প্রশ্ন উঠছে কেন? জেপি নাড্ডা দিল্লিতে সব দেশের রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে বিজেপি অফিসে বৈঠক করছেন। তাহলে উনি কে সরকারের? কেন রাষ্ট্রদূতদের ডাকা হল? সিপিএমের জমানায় একের পর এক বৈঠক আলিমুদ্দিনে হয়েছে। কেন পরিস্থিতি জটিল করছেন?”
[আরও পড়ুন: ফের দেশের মাটিতে ব্যাট হাতে নামতে চলেছেন সৌরভ! জিমে শুরু শরীরচর্চাও]
শুক্রবার এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠক চলাকালীন তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের বাইরে ভিড় জমান ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণরা। তাঁরা অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের দাবি জানান। তবে আগে থেকে বৈঠকের কথা না থাকায় টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে অভিষেকের মুখোমুখি কথা হয়নি। তাঁর পক্ষ থেকে দু’জন প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়। স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়। তবে নিজেদের দাবিতে অনড় প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণরা। শেষমেশ অভিষেকের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ক্যামাক স্ট্রিটে রাতভর ধরনা দেন। শনিবার সকালে পুলিশ আধিকারিকরা ক্যামাক স্ট্রিটে যান। বিক্ষোভকারী টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। তাতেও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে আটক করা হয় বিক্ষোভকারীদের।
এ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “সবাই একসঙ্গে কীভাবে বৈঠক সম্ভব? বারবার বলা হয়েছে, যার যার দেখা করার তাঁরা স্মারকলিপি দিয়ে যান। পরবর্তীকালে দেখা করবেন। তা সত্ত্বেও বসে রয়েছেন। কেন কষ্ট করছেন? লিখিত অভিযোগ জানান। অনভিপ্রেতভাবে পরিস্থিতি জটিল করার কারণ নেই।” নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে তৃণমূলের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কিছুটা সময়ও চেয়ে নেওয়া হয়। কুণাল ঘোষের কথায়, “সবে কাল একটা বৈঠক হয়েছে। একটু সময় তো দেবেন। একটু সময় দিন।”