ধ্রুবজ্য়োতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের কুণালের গলায় দিলীপ স্তুতি! জগদীপ ধনকড়ের মতো দিলীপ ঘোষেরও (Dilip Ghosh) পদোন্নতি হওয়া উচিত। তাঁর তো বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়া উচিত। বলছেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কিন্তু কেন এমন মন্তব্য করলেন তিনি?
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপিকে আক্রমণ শানান তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র। খোঁচা দেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও। সেই সূত্র ধরেই দিলীর ঘোষের ‘স্তুতি’ শোনা গেল তাঁর গলায়। এদিন কুণাল বলেন, “সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়া উচিত। একটা লোক এত মণিমাণিক্য ছড়ায়। সকাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি পার্কে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। ওঁর একটা পদোন্নতি পাওয়া উচিত,পুরস্কার পাওয়া উচিত।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে একজোট বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবির, নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি]
এবিষয়ে বাংলার প্রাক্তন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড়ের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তৃণমূল মুখপাত্র। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, “জগদীপ ধনকড় যদি প্রোমোশন পেতে পারেন। তাহলে দিলীপ ঘোষ ঘুম থেকে উঠে এত পারফর্ম করে কেন পুরস্কার পাবেন না?” বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী ওঁকে এত কাঠি করে, তাও দিলীপদা মাথা উঁচু করে বিরোধিতা করেন। পদ খুইয়ে সুকান্ত মজুমদারকে আক্রমণ করেন। তাই ওঁর প্রোমোশন পাওয়া উচিত।”
বিজেপির দিল্লির নেতৃত্বকে ‘যমদূত’ বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র। বলেন, “বিজেপি মানুষ ছাড়া সকলের উপর নির্ভর করে। শুনলাম, জে পি নাড্ডা পঞ্চায়েত নিয়ে কথা বলবেন। নিজের রাজ্যে জিততে পারে না। এখানে আবার পঞ্চায়েত নিয়ে আসবে।” শেষে তাঁর আরও সংযোজন, “ক্ষমতা থাকলে, দিদির দূতের মতো মোদির যমদূত হয়ে গ্রামে-গ্রামে যান। দিল্লি থেকে যারা আসবেন তাঁরা যমদূত।”