সুব্রত বিশ্বাস: আগামী রবিবার একুশে জুলাই। ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ওইদিন কলকাতায় ভিড় জমাবেন। ঠিক সেদিনই শিয়ালদহ ডিভিশনে একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ে। রেলের এই সিদ্ধান্তকে 'চক্রান্ত' বলে উল্লেখ করে X হ্যান্ডেলে তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। আর তার পরই সিদ্ধান্ত বদল রেলের। শনি এবং রবিবার শিয়ালদহ ডিভিশনে কোনও লোকাল বাতিল হচ্ছে না বলেই জানান পূর্ব রেলের সিপিআরও।
শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসে যাতে একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিলের কথা উল্লেখ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শনিবার একজোড়া করে নৈহাটি-ব্যান্ডেল, শিয়ালদহ-শান্তিপুর, শিয়ালদহ-রানাঘাট লোকাল এবং কল্যাণী সীমান্ত-নৈহাটি লোকাল বাতিলের কথা জানানো হয়। রবিবার নৈহাটি-ব্যান্ডেল লোকাল, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর লোকাল, শিয়ালদহ-শান্তিপুর লোকাল, শিয়ালদহ-রানাঘাট লোকাল, নৈহাটি-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল, শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল, রানাঘাট-নৈহাটি লোকাল বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এছাড়া ৫টি দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ এবং ৪টি এক্সপ্রেসের সময় বদলের কথাও রেলের তরফে জানানো হয়।
রবিবার একুশে জুলাই। তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। ওইদিন লোকাল বাতিলের সিদ্ধান্তের খবরে স্বাভাবিকভাবেই জোর শোরগোল পড়ে যায়। আমজনতার পাশাপাশি তৃণমূলের অন্দরে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। রেলের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। লোকাল ট্রেন বাতিল করে তৃণমূলের সমাবেশে বিঘ্ন ঘটানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তীব্র নিন্দা করে X হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "এভাবে তৃণমূলকে থামানো যাবে না।"
[আরও পড়ুন: সংরক্ষণে ‘না’, আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ওপার বাংলা, প্রতিবাদে গর্জে উঠল কলকাতা]
এই পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই নড়েচড়ে বসে রেল। সপ্তাহান্তে ট্রেন বাতিলের খবর 'রটে গেলেও' তা 'সত্যি নয়' বলেই দাবি করেন পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তাঁর কথায়, "আমরা কিছু কিছু জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি, ২০ এবং ২১ জুলাই শিয়ালদহ ডিভিশনে কিছু কিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে বলে খবর রটেছিল। এটা একেবারেই সত্যি নয়। শিয়ালদহ ডিভিশনে ২০ এবং ২১ জুলাই কোনও ট্রেন বাতিল হচ্ছে না। শনি এবং রবিবার যেমন ট্রেন চলে, তেমনই চলবে।"