টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সভা থেকে ফের বিজেপিকে নিশানা করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। আরও একবার শুভেন্দু অধিকারীকে ‘বেইমান’ বলে কটাক্ষ করলেন। পাশাপাশি আমজনতাকে উদ্দেশ করে বিনয়ের সুরে বললেন, “দলের নেতা-কর্মীদের ভুলের জন্য প্রয়োজনে সমস্ত রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা চাইব।”
রবিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কটাক্ষ করে মদন মিত্র বলেন, “নাড্ডাদের জন্য গাড্ডা তৈরি হচ্ছে বাংলায়।” এনআরসি (NRC) ইস্যুতে বিজেপি সরকারকে খোঁচা দেওয়ার পাশাপাশি আমজনতাকে সতর্ক করে বলেন, “বিজেপি জিতলে আপনার বাড়িতে আপনাকেই থাকতে দেবে না ওঁরা। সিএএ, এনআরসির অজুহাত দেখিয়ে অসমের বাসিন্দাদের মতো এরাজ্যের গরিব মানুষের জমি লুট করবে।” এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে ‘বেইমান’ বলে কটাক্ষ করেন মদন। বলেন, “একই পরিবারের দুই জনকে সাংসদ, একজনকে বিধায়ক, একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী, রাজ্যের একগুচ্ছ কমিটির চেয়ারম্যান করেছিলেন মমতা। তারপরও শত্রুর সঙ্গে আপস করেছেন তিনি। কর্মীরা তো কোনদিনও মন্ত্রী হননি। তারপরও হাজার হাজার কর্মী আজও তৃণমূলের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটছেন। কারণ, তাঁরা ‘বেইমান’ নয়।” বিরোধী শিবিরকে আক্রমণের পাশাপাশি এদিন দলের নেতা-কর্মীদের ভুলের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। বলেন, “আমাদের উপর রাগ থাকলেও তৃণমূলের উপর অভিমান করবেন না। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পা ধরে ক্ষমা চাইব।”
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যে বিনামূল্যে টিকাকরণের ঘোষণা, টিকাশ্রী বলে চালাবেন না তো?’ মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর]
দীর্ঘ কয়েক বছর বাদে বাঁকুড়ার শিল্পাঞ্চলে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রর বক্তব্য শুনতে মানুষের ঢল নেমেছিল।সভায় উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা জঙ্গলমহলের উঠতি নেতা রাজকুমার সিংহ-সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গড় হাবড়ায় সভা করেন ব্রাত্য বসু। মঞ্চ থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনাদের হাতেই বাংলার এত মানুষের ভবিষ্যৎ। আপনারাই ঠিক করুন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কোনও শাহ বা বর্গীয় হবেন, নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”