ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তিনি রঙিন ছেলে। তাই হাজারো বিতর্ক, রাজনৈতিক চাপকে উপেক্ষা করে ভ্যালেন্টাইনস উইকে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মদন মিত্র! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। আলিঙ্গন দিবসে ছড়িয়ে পড়েছে এমনই খবর। এমনকী শনিবার বিকেলে নাকি তিনি কালীঘাটেও যাবেন। সেখান থেকে করতে পারেন ফেসবুক লাইভ।
দিব্যি তো স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছেন। সম্প্রতি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিদি নাম্বার ওয়ান রিয়ালিটি শোয়েও তাঁকে দেখা গিয়েছিল সস্ত্রীক। কিন্তু আচমকা এমন কী হল, যে আবার গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তিনি! না, সে রহস্য এখনও পর্যন্ত অবশ্য ফাঁস করেননি কামারহাটির বিধায়ক। তবে শোনা যাচ্ছে, এদিন বিকেলে ভবানীপুরের বাড়ি থেকেই নাকি বরযাত্রী নিয়ে বের হবেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। পৌঁছে যাবেন কালীঘাট। তার জন্য কেনাকাটাতেও কোনও খামতি রাখছেন না। পরবেন লাখ টাকার পাঞ্জাবি। সব ঠিকঠাক থাকলে লাল পাঞ্জাবি পরেই হাজির হবেন বিয়ের আসরে। নববধূর জন্য কিনেছেন লাল বেনারসিও।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন ছবি বিধাননগরে! বুথে তৃণমূল ও বিজেপির মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি]
কিন্তু প্রশ্ন হল, পাত্রী কে? এ রহস্য অবশ্য এখনই ফাঁস করতে চাইলেন না তৃণমূল বিধায়ক। শুধু জানালেন, তিনি মানসিক ভাবে বিভ্রান্ত। বলেন, “সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। সবাই বলছে ‘ওয়ান ম্যান ওয়ান পোস্ট’। তাই আমিও ভেবেছিলাম ‘ওয়ান ম্যান ওয়ান ওয়াইফ’। কিন্তু এখন ভাবছি দু’টো হাত, দু’টো পায়ের মতো দু’টো বউ ছাড়া চলবে না। তাই আবার বিয়ে করছি।’’ উল্লেখ্য, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ে শাসক দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে যে কথা বসানো হচ্ছে তারপরেও চার লাইন বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় যা সিদ্ধান্ত তা চেয়ারপার্সনই নেবেন।” তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক ব্যক্তি এক পদের পক্ষেই সুর চড়িয়েছিলেন। সেই বিষয়টিকেই যেন খোঁচা দিলেন মদন।
তবে বিয়ে নিয়ে তিনি রহস্য ভেদ না করলেও জানা গিয়েছে, একটি বিজ্ঞাপনের জন্যই ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন মদন মিত্র। আর পাত্রী আর কেউ নন, তাঁর স্ত্রী অর্চনা মিত্রই।