সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “কুমড়োগুলো ফুলো ফুলো অনেক টাকায় বিক্রি হল।সঙ্গে কিছু ঢেঁড়শ-মুলো, জিতবি বলে ভাবলি! ওয়ে লাভলি।” এমনই শব্দে গান ধরেছেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার প্রকাশ্যে তাঁর মিউজিক ভিডিও ‘লাভলি’।
ইতিমধ্যে মদন মিত্রর গলায় এই গান ভাইরাল। লোকের মুখে মুখে। আর এবার কাঁকিনাড়ায় প্রকাশ হল এই গানের ভিডিও অ্যালবাম। সেখানে দাঁড়িয়েই কুমড়ো কাটলেন মদন মিত্র। কুমড়ো হাতে নাচলেনও। রান্না করা ঢেঁড়শ, কুমড়োর ঘ্যাঁট খাওয়ালেন সেখানে উপস্থিত অনেককে। কিছুটা খেয়ে আবার বিরক্তি দেখিয়ে ফেলেও দিলেন। তাঁর পরিষ্কার কথা, পচা কুমড়ো, ঢেঁড়শ দিয়ে বিজেপি ঘ্যাঁট রান্না করছে। ও ঘ্যাঁট মানুষ মুখে তুলবে না। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর গলায় গাওয়া গানে বাঁশিতে সুর দিলেন কাকদ্বীপের এক ভিখারি মিহির পানুয়া। তিনি বাঁশি বাজিয়ে উল্টোডাঙা স্টেশনের কাছে ভিক্ষা করেন। সেখান থেকে একেবারে মদন মিত্রর গানে বাঁশি বাজাতে পেরে আপ্লুত শিল্পী। মদন মিত্রর এই গান যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দলবদলুদের জন্য, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
[আরও পড়ুন: রেলে চাকরি দেওয়ার নামে বাংলায় প্রতারণা, তামিলনাড়ু থেকে ধৃত চক্রের মূল পাণ্ডা]
সবুজ টি শার্ট, কালো রোদচশমায় এদিনের মঞ্চ মাতালেন মদন। তৃণমূল (TMC) নেতা বলেন, “এই বিজেপির ক্যারেক্টার যত টাকা দিয়ে পারে কুমড়ো, ঢেঁড়শ, মুলো, পটল কেনো। বাজার থেকেও কিনছে। রাজনীতির ময়দান থেকেও। কুমড়োর ঘ্যাঁটটা মুখে নিয়ে দেখলাম। খাওয়া যাচ্ছে না। এটা তৈরি হয়েছে বিজেপির জন্য। ঘ্যাঁটের যে চচ্চড়ি হয়েছিল ওরা খাবে।” গানের কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন? সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, “প্রথমবার গান গাইলাম। মানুষ গানটা পছন্দ করেছেন। মানুষ গানের ব্যঙ্গাত্মক অর্থও বুঝতে পারছেন। এটাই ভাল লাগছে।” বিধানসভা নির্বাচনে ভাটপাড়া যে তাঁর কাছে আরও বেশি গুরুত্ব পাবে, সেকথাও এদিন পরিষ্কার করে দেন মদন। বলেন, “এই মুহূর্তে সবথেকে ঘেঁটে যাওয়া জায়গা হচ্ছে ভাটপাড়া। তাই এখান থেকেই এই ঘ্যাঁটের গান প্রকাশ করলাম। আমি প্রায়ই আসব। ভাটপাড়ায় তৃণমূলের ভোট আরও বাড়বে। আরও বেশি মার্জিনে জিতবে তৃণমূল।” জানান, ‘ফেটে গেল, ফেঁসে গেল কালীরামের ঢোল’ গানের সুরও ব্যবহার করা হয়েছে।