রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ‘খেলা হবে’ স্লোগান ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। মঙ্গলবার স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান কাঁথির পিছাবনীতে দলীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে বললেন, “খেলতে গেলে মাল লাগে। আমাকে তালিকা দেবেন আমি মাল পৌঁছে দেব। ভোটে যে মাল লাগে সেই মাল পৌঁছে দেব। দিনে পারব না, রাতে পৌঁছে দেব।”
পিছাবনী হাইস্কুল সংলগ্ন শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গন মাঠে বিজেপির পালটা জনসমাবেশের আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারের নানা জনবিরোধী নীতি, পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতেই ছিল এই জনসভা। মদন মিত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী বাহা (রণিতা দাস)।
[আরও পড়ুন : তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে, উত্তপ্ত বর্ধমান]
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘পরিবর্তন যাত্রা’ উপলক্ষে পিছাবনীর শহিদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনেই সভা করেছিল বিজেপি। মঙ্গলবার তারই পালটা জনসভার ডাক দেওয়া হয়। মদন মিত্রের ‘খেলা হবে’ স্লোগানে জনসভা ছিল রীতিমতো সরগরম। এদিন মদন মিত্র বলেন, “প্রতিদিন দিল্লি-সহ ভিনরাজ্যের বহিরাগত নেতারা পশ্চিমবঙ্গে রোজ যাতায়াত করছেন। আগেই আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলাম, বর্ডার সিল করে দিন, যাতে বহিরাগতরা ঢুকতে না পারে। বহিরাগতরা হাতে মেশিন নিয়ে, বোমার মশলা নিয়ে ঢুকছে।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “এবার আর তাদের সিল করে আটকাতে হবে না। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, তাদের ঢুকতে দিন। ঢোকার জায়গা হয়তো পাবে। কিন্তু বেরনোর রাস্তা খুঁজে পাবে না।” এর পরই তৃণমূল নেতার বিতর্কিত মন্তব্য, “আর খেলতে গেলে মালমশলা লাগবেই। মালমশলা লাগলে পৌঁছে দিতে হবে। আপনারা জানেন তো, নির্বাচনে কী মালমশলা লাগে?” তিনি সেই মালমশলা পৌঁছে দেবেন বলে জানান।
মদন মিত্র দলীয় কর্মীদের ‘হোম ওয়ার্ক’ দেন। বলেন, “এখানকার নেতাকর্মীদের আমি দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছি, বুথের এজেন্ট তৈরি করুন। তালিকা তৈরি করুন। আমাকে ভালো খেলোয়াড় খুঁজে দিন, যারা নির্বাচনে খেলতে পারবে। আমি তাদের ট্রেনিং দিয়ে দেব, কী করে খেলতে হয়।” তিনি এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে মীরজাফর-সহ একাধিক বিশেষণে সম্বোধন করে বলেন, “বিভিন্ন মামলা থেকে বাঁচতে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছে কাঁথির অধিকারী।”
দেখুন ভিডিও: