গোবিন্দ রায়: লোকসভা ভোট মিটতেই জামিন পেলেন ভাঙড়ের 'তাজা নেতা' আরাবুল ইসলাম। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) তরফে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। তবে তার জন্য বেশ একগুচ্ছ শর্ত চাপিয়েছে উচ্চ আদালত। গত পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফ কর্মী খুনের ঘটনায় ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার হন আরাবুল (Arabul Islam)। সেই থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। এবার তাঁর জামিন মিলল।
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) সময় ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মী খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল আরাবুলের। এবছর লোকসভা ভোটের আগে সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভাঙড়ের পুলিশ। এই গ্রেপ্তারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গোটা ভোটপর্বে আরাবুল ছিলেন জেলবন্দি। তাঁকে ভাঙড়ের (Bhangar) আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। ভাঙড়ে চব্বিশের ভোট হয়েছে আরাবুল বিহীন, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে। যদিও অন্দরের খবর, আরাবুল-শওকতের মধ্যে সম্পর্ক বিশেষ ভালো নয়।
[আরও পড়ুন: বাতিল রাজ্যপালের চোপড়া সফর, শিলিগুড়িতে সাক্ষাতে নারাজ নির্যাতিতরা]
আরাবুল জামিনের জন্য একাধিকবার আবেদন জানিয়েছিলেন। চিকিৎসার প্রয়োজন দেখিয়ে জামিন চান। কিন্তু বারুইপুর আদালত তা মঞ্জুর না করায় হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট আরাবুলের বিরুদ্ধে আর কী কী মামলা আছে, জানতে চায় হাই কোর্ট। তাঁর স্ত্রীও আবেদন জানান। সেসব আবেদনের ভিত্তিতে অবশেষে হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ জামিনে মুক্তি দিল আরাবুলকে। কিন্তু জামিন পেলেও দলে কি আগের গুরুত্ব ফিরে পাবেন? ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে তাঁকে কি কোনও গুরুদায়িত্ব দেবে দল? সেই প্রশ্ন থাকছেই।