বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: দলবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং ওই ধরনের কাজে মদত দেওয়ার অভিযোগ। নদিয়া জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতির পদ থেকে সোমবার হঠাৎই সরিয়ে দেওয়া হল পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়কে (Parthasarathi Chatterjee)। পাশাপাশি তৃণমূলের কোনও সভায় তাঁকে যোগদান করতেও বারণ করা হয়েছে। সোমবার এই মর্মে জেলা সভাপতির চিঠি পৌঁছয় তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি তথা রানাঘাট পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে যখন ওই পদে রাখা হয়েছিল। সেদিন আমি খুশি ছিলাম না। আর সরিয়ে দেওয়াতেও আমি অখুশি নই । এই ধরনের পদে কেন রাখা হয়েছিল, আমি জানিনা। যারা ওই ধরনের পদ পছন্দ করেন সেটা তাদের জন্য ভাল।” যদিও তার বিরুদ্ধে আনা দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ প্রসঙ্গে পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি দলবিরোধী কাজ কোথায়, কীভাবে করেছি, আমার জানা নেই। আমাকে তো শোকজ করা হয়নি। এমনকি টেলিফোনে কথা পর্যন্ত বলা হয়নি। কোনও স্তর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। আমাকে দলের অনুষ্ঠানে যেতে বারণ করা হয়েছে।” যদিও এই বিষয়ে জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বাণী কুমার রায় বলেন, “সভাপতি যা করেছেন নিশ্চয়ই বুঝে করেছেন। একটা বিষয় জরুরি দলের শৃঙ্খলারক্ষা করতে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। সেরকম যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে সভাপতি সঠিক করেছেন এবং ভেবেচিন্তেই করেছেন।”
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ২৫২, পরপর দু’দিন রাজ্যের কোভিড গ্রাফে স্বস্তি]
গত কয়েকদিন ধরেই পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়। কিছুদিন আগে রানাঘাট শহরের কয়েকটি জায়গায় পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় ওরফে বাবু চট্টোপাধ্যায়কে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে ‘আমরা বিজেপি সমর্থনকারীরা বাবু চট্টোপাধ্যায়কে চাই না’ লেখা পোস্টার ও ফ্লেক্স লাগা নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল। তখন পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল,”আমি ওই ধরণের নোংরা সংস্কৃতি নিয়ে কিছু বলতে রাজি নই।” তার কয়েকদিন পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতির পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলেছে। যদিও সোমবার সন্ধের পরেও পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমি এখনও পর্যন্ত দলেই আছি।”