রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: নির্বাচনের আগে অব্যাহত শাসক-বিরোধী তরজা। এবার দ্বন্দ্বে জড়ালেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী (Sourav Chakraborty) এবং বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। টি অ্যাডভাইজারি বোর্ডের টাকা নিয়ে সৌরভকে তোপ দাগেন সৌমিত্র। তার পালটা জবাবে বিস্ফোরক দাবি সৌরভ চক্রবর্তীর।
সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) বলেন, “২০১৯ সালে ১৮টি আসন পেয়েছি। ২০২১ সালে ২১০টি আসন পাব। এবার সরকার গড়বে বিজেপি। অনেকে আমাদের দলে আসতে চাইছেন। তাঁদের স্বাগত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পিকের অনুগত হয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এটা বড় লজ্জার।আলিপুদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীও বিজেপিত আসবেন। তবে সৌরভ এলেও ১০০ কোটি টাকার তদন্ত হবে। সৌরভ টি অ্যাডভাইজারি বোর্ডের দায়িত্বে থাকার সময় কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিল। সেই টাকার তদন্ত হবে।” পালটা তোপ দেগেছেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, “সৌমিত্র নিজে তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছে। আমার হাত ধরেই ও তৃণমূলে আসতে চাইছে। টি অ্যাডভাইজারি বোর্ডের কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। ওই অ্যাকাউন্টে টাকা আসবে কীভাবে? এক বছর আগে একই অভিযোগ তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিছু না জানলে যা হয়।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও খোঁচা দেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, “ওরা দুর্নীতি করছে সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হবে।” এদিন পুলিশ প্রশাসনের সমালোচনা করে সৌমিত্র খাঁ বলেন, “এখনও সময় আছে। তৃণমূলের দলদাস না হয়ে কাজ করুন।তা না হলে ক্ষমতায় এলে তারপর অন্যরকম হবে সব।”
[আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতে ডিজিটাল প্রচার মাওবাদীদের, জঙ্গলমহলে ভাইরাল ভিডিও]
আলিপুরদুয়ার শহরে এদিন বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার মিছিলে বিভিন্ন জায়গার নেতাকর্মীরা যোগদান করেন। তাঁদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সব বাধা অতিক্রম করেও বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা মিছিলে শামিল হয়েছিলেন বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের। শহরে যুব মোর্চার মিছিলের জেরে জেলা সদরের প্রশাসনিক চত্বরে ঢোকার সব পথ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। বড় বাঁশের ব্যারিকেডে ভোগান্তি শিকার হয় আমজনতা। গোটা শহরে তৈরি হয় যানজট।