শাহজাহাদ হোসেন, ফরাক্কা: নির্বাচনের আগে থেকেই বাংলা জুড়ে দলবদলের জোয়ার চলছে। ভোটের পরও তাতে ভাঁটা পড়েনি। এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদ সফরের দিনই প্রণবপুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী। এই ঘটনার পরই অভিজিৎবাবুর দলবদল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও দু’পক্ষই দাবি করেছে, নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ।
বুধবার মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নওদায় এক অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী আখরুজ্জামান, সাবিনা ইয়াসমিন, মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমুল সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহের খান, সাংসদ খলিলুর রহমান, বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, মহম্মদ সোহরাব ও আমিরুল ইসলামরা। সেখান থেকে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের জলঙ্গির বাড়িতে যান তাঁরা। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তাও হয় তাঁদের মধ্যে। এর পরই দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্র-রাজ্যের সিদ্ধান্তের বিপরীতে হেঁটে বিশ্বভারতীতে দশম-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার দিন ঘোষণা]
যদিও দলবদলের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন প্রণবপুত্র। তাঁর কথায়, “আবু তাহের বিকেলে ফোন করে বলল সকলে একসঙ্গে আছি। দাদা, তোমার বাড়িতে চা খেতে যাব। বললাম চলে এস।” তিনি আরও জানান, “ওঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভাল সম্পর্ক। এঁরা কেউই বাবার শ্রাদ্ধের সময় যেতে পারেননি। আজ আমার বাড়িতে এসে বাবা, মায়ের ছবিতে শ্রদ্ধা জানান। সামান্য গল্পগুজব হয়। চা খেয়ে চলে যান। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত সম্পর্কে রাজনীতির রঙ দেবেন না দয়া করে।” তৃমমূলের তরফে একে নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ বলে দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, একুশের ভোটযুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড়েও ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। একটি আসনও জিততে পারেনি শতাব্দিপ্রাচীন দলটি। লোকসভা বা এ রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচনেও কংগ্রেসের আসন জেতার সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমন অবস্থায় মুর্শিদাবাদের পাঁচবারের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকও কংগ্রেস ছাড়ছেন বলে সূত্রের খবর। এ নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও কি একই পথে হাঁটবেন, তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই প্রশ্ন উঠছে।