ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূলে চালু ‘সেন্সরশিপ’। দলের ভিতরের কথা বাইরে বলা যাবে না। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কেউ কোনও কথা বললে তাঁকে বহিষ্কারও করা হতে পারে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে দলীয় নেতৃত্বকে ফের কড়া বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে কালীঘাটের বুধবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, “সবাই মুখপাত্রর মতো আচরণ করছে। যে যার ইচ্ছে বলে দিচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে। এটা বন্ধ করতে হবে। দলে এবার থেকে চালু সেন্সরশিপ। দলের ভিতরের কথা বাইরে বলা যাবে না। কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ সোশাল মিডিয়ায় করা যাবে না। দলে সবার গণতন্ত্র আছে। স্বাধীনতা আছে। দলের অভ্যন্তরে কিছু সমস্যা হতেই পারে। সেটা বলতে হবে দলেই। সংবাদমাধ্যমে তা বলা যায় না।” দলনেত্রীর আরও সংযোজন, “কোনও ঝগড়াঝাঁটি বরদাস্ত করা হবে না। দল যাঁকে বলতে বলবে একমাত্র তিনিই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলবেন। বাইরে মুখ খোলা যাবে না।” লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তাও দেন মমতা। বলেন, “সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ফের হামলার আশঙ্কা ইডির? এবার শক্তি বাড়িয়ে অভিযান]
প্রসঙ্গত, আর মাসদুয়েক পরই লোকসভা নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনায় বার বার সামনে এসেছে সাংসদ অর্জুন সিং এবং বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বাকতরজা। দলের নির্দেশে অর্জুন চুপ করলেও, সোমনাথ শ্যামকে লাগাম টানা যায়নি। আবার উত্তর ২৪ পরগনার অশান্তির মাঝেই হুগলির বলাগড়েও তুঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল। বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে স্থানীয় নেত্রী রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব চরম আকার নেয়। অশান্তির জল গড়ায় থানাতেও। এছাড়া ব্যাপারী বার বার সোশাল মিডিয়ায় ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাম্প্রতিক অতীতে একের পর এক নেতার আচরণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। আর তা রুখতেই কড়া বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর।