কৃষ্ণকুমার দাস: দীর্ঘদিনের লড়াকু নেতা তাপস রায়কে বড়সড় পদ দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দমদম-বারাকপুরের সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন ছাত্র-যুব আন্দোলন থেকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উঠে আসা দীর্ঘদিনের নেতা। তাঁর সামনে মূল চ্যালেঞ্জ, আগামী লোকসভা (Lok Sabha Election) ভোটে দমদম ও বারাকপুরে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর পাশাপাশি মার্জিন বাড়িয়ে তোলা। চ্যালেঞ্জটি কঠিন অনুভব করেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ষীয়ান বিধায়ক এবং বহু রাজনৈতিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তাপস রায়কে এই গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন।
বিগত লোকসভা ভোটে বারাকপুরে পদ্ম প্রতীকে অর্জুন সিং জয়ী হলেও এখন তিনি জোড়াফুল শিবিরে। এক দশকের বেশি সময় প্রতিটি নির্বাচনেই এই দুই কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) নিয়ে একটা চোরস্রোত থাকেই। তাই নয়া সভাপতির কাছে সংসদীয় নির্বাচনটা কিছুটা চ্যালেঞ্জের। তবে ১৯৯৬ সাল থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসা পাঁচবারের বিধায়ক তথা বহু লড়াইয়ের পোড়খাওয়া সৈনিক তাপসের কাছে নয়া পদ ‘দলের সৈনিক হিসাবে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার’।
[আরও পড়ুন: ঠিক যেন ‘থ্রি ইডিয়টস’, মহিলাদের সহায়তায় কলকাতায় রাস্তার পাশে সন্তান প্রসব অন্তঃসত্ত্বার]
দলীয় ঘোষণার পর এদিন তাপস বলেন, ‘‘দলের কাছে, নেত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। শৃঙ্খলাপরায়ণ সৈনিক হিসাবে সংগঠনের কাজে ১০০ শতাংশ দিতে চেষ্টা করব।’’ এই সাংগঠনিক জেলায় ২টি লোকসভা ছাড়াও ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। তবে ব্যারাকপুর-দমদম এলাকায় যে নেতারা রয়েছেন, সৌগত রায় বাদ দিয়ে তাঁদের প্রায় সবারই সিনিয়র হলেন বিভিন্ন সময়ে দলের নানা দায়িত্ব সামলানো তাপস রায়। দুই কেন্দ্রের সমস্তমহলেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। তাই সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি এলাকায় দলকে আরও ভাল চালাতে পারবেন বলে আশা তৃণমূল হাইকম্যান্ডের।
[আরও পড়ুন: করোনার অতি সংক্রামক BF.7 ভ্যারিয়েন্ট এবার বাংলায়, রাজ্যে হদিশ ৪ আক্রান্তের]
পক্ষান্তরে অনেকে মনে করছেন, কিছুদিন আগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাপসের বিবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ নিয়ে সুদীপকে আক্রমণ করেছিলেন তাপস। সেটা নিয়ে বেশ কিছুদিন আলোচনা চলেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তাপসকে দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করার অর্থ আসলে ঘুরিয়ে সুদীপকে বার্তা দেওয়া।