চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: ৬০ পাউন্ডের কেক। বর্ণাঢ্য বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন। আমন্ত্রিত পাঁচ হাজার। সবমিলিয়ে খরচ অন্তত ১০ লক্ষ টাকা। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের জন্মদিনের এলাহি আয়োজন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এই আয়োজনকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না বিরোধীরা। তা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দিতেও ভোলেনি পদ্মশিবির। যদিও পালটা এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
মঙ্গলবার জন্মদিন ছিল মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। এবার ৬০ বছর বয়স হল তাঁর। জন্মদিন বলে কথা। তাই বিধায়ককে খাওয়াতে হবে বলেই আবদার করেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। যাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগঠনের কাজ করেন, জীবনের বিশেষ দিনে তাঁদের আবদার ফেলতে মন চায়নি বিধায়কের। তাই ৬০ বছরের জন্মদিনে এলাহি আয়োজন করেন তিনি। বাঁধা হল মঞ্চ। বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে মঞ্চ কাঁপান বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।
[আরও পড়ুন: ‘১০ পয়সা দিয়েও সাহায্য করেনি কেন্দ্র’, গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার মর্যাদা নিয়ে সরব মমতা]
জন্মদিন বলে কথা, কেক তাই কাটতে হবে। বিধায়কের জন্য আনা হয় ৬০ পাউন্ডের কেক। যার দাম ৩৬ হাজার টাকা।
কেক কাটা, বিচিত্রানুষ্ঠান এসব যখন হচ্ছে, তখন পেটপুজোও আবশ্যিক। তাই তো খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্তও করা হয়। গ্রামের অন্তত ৫ হাজার মানুষ ওইদিন একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। মেনুতে ছিল বিরিয়ানি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা-মন্ত্রীদের নির্লোভ জীবন কাটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বারবার। তা সত্ত্বেও বিধায়কের জন্মদিনের এলাহি আয়োজনকে নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। “মুখ্যমন্ত্রী গরিব মানুষ। তৃণমূল বিধায়ক জন্মদিনে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করবেন না?”, টিপ্পনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। পালটা বিজেপিকে জবাব দিয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী খুব সাধারণ জীবনযাপন করতে বলেছেন ঠিকই। তবে এটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই দেখছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, ৬০ বছরের জন্মদিনে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা আবদার করেছিলেন বলেই এমন আয়োজন করেন হুমায়ুন কবীর।