শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: আয়কর দিয়েছেন। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক প্রয়োজনেই বাড়িতে টাকা মজুত করেছিলেন। বাড়ি ও কারখানা থেকে নগদ ১১ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সাফাই খোদ জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের। যদিও তৃণমূল বিধায়কের দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা।
গত বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুরের বিধায়ক হন জাকির হোসেন (Jakir Hossain)। এবার আর মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসাও করেন জাকির। বিড়ি কারখানা এবং চালকলের মালিক তিনি। বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক রয়েছে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের। তাঁর বাড়ি, অফিস, গুদাম এবং কারখানা থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার জাকির হোসেন বলেন, “৭ হাজার শ্রমিক আমার। কৃষিক্ষেত্রে পুরোটাই নগদে ব্যবসা হয়। সবটাই শ্রমিকদের টাকা। কৃষকদের টাকা। চাষিরা যদি টাকা না পায় তাঁরা বিক্ষোভ করবেন। আমরা অনেককে কাজ দিই। সেই কাজ ব্যাহত না হোক, সেটাই চাইব।”
[আরও পড়ুন: ভোরে উঠে রান্নার সময়ই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, হরিয়ানায় সিলিন্ডার ফেটে মৃত বাংলার ৬ জন]
রাজ্যে নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে দু’দফায় নগদ অন্তত ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তারপরেও একাধিক জায়গা থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, অফিস, গুদাম এবং কারখানা থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে কোনও না কোনও দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। যদিও এই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা আয় বহির্ভূত নয় বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়কের। গত ২৩ বছর ধরে আয়কর দিচ্ছেন বলেই জানান তিনি।
আচমকা বাড়ি, গুদাম, অফিস, কারখানায় আয়কর হানার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আয়কর দপ্তর তল্লাশি চালিয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান জাকির হোসেন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক যার বাড়িতে গিয়েছেন তিনি আইনি মোকাবিলা করবেন৷ কিন্তু চারআনা নেতারা আগে থেকে বলে দিচ্ছে। তারপর এজেন্সি নেতার বাড়ি যাচ্ছে। এটা ভীষণ দৃষ্টিকটু। এটা ভীষণ বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। এদিকে, কলকাতা পুরসভার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আমিরুদ্দিন ববির হোটেলে বুধবার সকাল আটটা থেকে তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা।
দেখুন ভিডিও।