সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি, অফিস থেকে নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের শুরুতে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনকে তলব করল আয়কর দপ্তর। কলকাতা কলকাতার অফিসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে আয়কর দপ্তর তলব করেছে বলেই অভিযোগ জাকির হোসেনের। এদিকে, প্রায় দু’দিন ধরে হোটেলে তল্লাশির পর কলকাতা পুরসভার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আমিরুদ্দিন ববিকেও তলব করেছে আয়কর দপ্তর।
তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা আয় বহির্ভূত কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের শুরুতে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনকে তলব করল আয়কর দপ্তর। কলকাতার অফিসে হাজিরা দিতে হবে তৃণমূল বিধায়ককে। সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে গত পাঁচ বছরের আয়ের নথিপত্র এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট। আয়কর দপ্তরের তল্লাশির নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধিই দেখছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “আমার বাড়ি থেকে মাত্র ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা পেয়েছে। অথচ বলা হচ্ছে ১১ কোটি পেয়েছেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। আমি ব্যবসা করি। এটা পরিশ্রমের টাকা। সব হিসাব দিয়ে দেব।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চব্যাঞ্জনে সাজানো থালা ছুঁলেনও না! স্রেফ ছবি তুলেই গ্রাম ছাড়লেন ‘দিদির দূত’ শতাব্দী]
জাকির হোসেনের বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন বিধায়ক। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার মতে, “দুর্নীতি ধরা পড়লেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ভাঙা রেকর্ড বাজাতে শুরু করেন সকলেই। জাকির হোসেনও তাই একথা বলছেন।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও মত একইরকম। তাঁর মতে, “ব্যবসায়িক প্রয়োজনে টাকা থাকতেই পারে। তবে এত টাকা বাড়িতে রাখতে পারেন না কেউ।”
তবে জাকির হোসেনের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “জাকির হোসেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তৃণমূলে যোগদানের আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বিড়ি, কৃষিভিত্তিক ব্যবসা করেন উনি। তাই নগদ টাকা রাখতে হয়। প্রমাণ হওয়ার আগে এজেন্সি ছবি প্রকাশ করেছে। এটা অযৌক্তিক। এখান থেকেই স্পষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর দপ্তর।”