নিরুফা খাতুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এই মুহূর্তে জেলবন্দি বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। জামিন পাওয়ার জন্য বারবার আবেদন করলেও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এখন তাঁর জামিন (Bail) পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার আদালতে যাওয়ার পথে সেই জীবনকৃষ্ণ সাহাই নাম না করে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতাকে। প্রিজন ভ্যান থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি স্পষ্ট বললেন, ”কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যর্থতা আছে, তারা প্রমাণ করতে পারছে না। এর আগে আপনারা তো দেখেছেন খবরের কাগজে মুড়ে টাকা নেওয়ার ছবি। তাকেই তো ধরতে পারছে না। সেটা আগে তদন্ত করতে বলুন।”
শুক্রবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। প্রিজন ভ্যান থেকেই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। সাংবাদিকরা তাঁকে তদন্ত নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে প্রিজন ভ্যান থেকেই তিনি বলেন, ”এটা কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যর্থতা, তারা কিছু প্রমাণ করতে পারছে না। আপনারা তো দেখেছেন খবরের কাগজে মুড়ে টাকা নেওয়ার ছবি। তাকেই তো ধরতে পারছে না। আগে তার তদন্ত করুক।” তা শুনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কাকে ইঙ্গিত করে একথা বললেন বিধায়ক? জবাবে জীবনকৃষ্ণ সাহা জানান, ”কার কথা বলছি আপনারা ভালই জানেন।” এরপর তাঁদের আরও সংযোজন, ”যার ফোন সিবিআই দপ্তরে আসে বারেবারে…দেখুন আপনারা তদন্ত করুন, পেয়ে যাবেন।”
[আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটিতে বাতিল ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’, বিকল্প ট্রেনে মালদহ গেলেন রাজ্যপাল]
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এজেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সন্দেহে গত এপ্রিল মাসে বড়ঞার বিধায়ককে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তার আগে প্রায় ৭২ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলে। দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করতে বিধায়ক নিজের দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে ধরা পড়ে জেলযাত্রা হয় তাঁর। এর আগে একাধিকবার আদালতে পেশের সময় জীবনকৃষ্ণকে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। প্রতিবারই দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে শুক্রবার নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা করলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। নারদা কাণ্ডে (Narada case) শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ভাইরাল ভিডিওকে বারবার নিশানা করেছে তৃণমূল। জেলবন্দি বিধায়কও এবার সেই সুরেই কথা কটাক্ষ করলেন।