সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও চশমা তো কখনও তাঁর চকমকে পোশাক, আবার কখনও ‘ওহ লাভলি’র মতো শব্দবন্ধ। একের পর এক অরাজনৈতিক কারণেও সংবাদের শিরোনামে থাকেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। মহালয়ার দিনও চর্চায় কামারহাটির দামাল ছেলে। তর্পণ নিয়েও রাজনীতির অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।
বাবুঘাটে বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবিতে মালা দিয়ে তর্পণ সারলেন মদন। বললেন, “বিজেপির (BJP) রাজনৈতিক অপমৃত্যু হচ্ছে। পরে তর্পণ করার লোকও পাওয়া যাবে না। তাই আমি তর্পণ করে গেলাম।”
[আরও পড়ুন: আমির খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েও চুপ ছিল পুলিশ! গার্ডেনরিচে টাকা উদ্ধার কাণ্ডে ক্লোজ SI]
সনাতনী রীতি মেনে, মহালয়ার দিন সকালে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করেন উত্তরসূরিরা। এদিন বাবুঘাটে তর্পণ সারতে গিয়েছিলেন কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্র। পরনে তসরের ধুতি-উড়নি গায়ে। চোখে কালো সানগ্লাস। নিজের মেজাজেই তর্পণ করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। গঙ্গার পাশে রাখা হয়েছিল দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর ছবি। দুই ছবিতে মালাও পরানো ছিল। নিজেই দুই ছবিতে মালা পরিয়েছিলেন এদিকে নিয়ম মেনে মন্ত্র পড়ে বিজেপির উদ্দেশে তর্পণ সারেন মদন। জানান, বিজেপির বিদায় কামনায় তর্পণ করলেন।
এদিন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বিজেপির রাজনৈতিকভাবে অপমৃত্যু ঘটবে। এরপর ওদের হয়ে তর্পণ করার কেউ থাকবে না। তাই ওদের উদ্দেশে আমি তর্পণ করে গেলাম।” বিজেপির রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ নিয়েও তোপ দেগেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তর্পণ করে বিজেপির রাজনৈতিক হিংসা থেকেও মুক্তি চেয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: গ্রামের উন্নয়নে কেন্দ্রের টাকা বন্ধ করব, ফের রাজ্যকে হুমকি শুভেন্দুর, ক্ষুব্ধ তৃণমূল]
কামারহাটির বিধায়কের তর্পণের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, “রাজনৈতিক জীবনের সায়াহ্নে এসে উপস্থিত হয়েছেন মদন মিত্র। কারোর চোথে ভাল হতে গিয়ে অন্য কাউকে অপমান করা উচিৎ নয়। এই তর্পণ একেবারেই অনুচিত। এর নিন্দা করছি।” একই সুর রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মদনদা এখন অন্যদিকে চলে গিয়েছেন। ওঁর লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে নয়। বিজেপিকে সামনে রেখে দলের দিকেই তির তাক করেছেন তিনি।”