সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে পুরোদস্তুর শিরোনামে তিনি। কখনও পুজো স্পেশ্যাল গান গেয়ে, নাচ করে তাক লাগাচ্ছেন তো কখনও মণ্ডপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিমায় করছেন চক্ষুদান। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে মদন মিত্রর (Madan Mitra)। কামারহাটির বিধায়ক মহালয়ার সকালে ধরা দিলেন নতুন ভূমিকায়। এবার পুজো মণ্ডপে বসে চণ্ডীপাঠ (Chandi) করলেন তিনি।
পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরে ঘুম ভাঙে বাঙালির। রেডিওর সেই 'মহিষাসুরমর্দিনী' বাঙালির কাছে চিরকালীন ভালবাসা। তবে এবার মদন মিত্রর কণ্ঠেও শোনা গেল চণ্ডীপাঠ। এই প্রথমবার গায়ে নামাবলি চাপিয়ে কোনও মণ্ডপে বসে চণ্ডীপাঠ করতে শোনা গেল তাঁকে। বেলঘড়িয়া মানসবাগ সর্বজনীন দুর্গা উৎসব কমিটির পুজো প্রাঙ্গণে চণ্ডীপাঠ করলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা সংগঠনের সভাপতি মদন। মায়ের কাছে তাঁর প্রার্থনা, "মা দুর্গা পৃথিবীর মঙ্গল করুন। সমস্ত পাপের বিনাশ করে পৃথিবীকে শান্ত করুন।" এরপরই নাম না করে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, "অশুভ শক্তির বিনাশ করতেই এই প্রয়াস। তবে সম্পূর্ণ চণ্ডীপাঠ করতে পারব না। যেদিন পারব, বুঝব মনুষ্য জীবন সার্থক হয়েছে।"
[আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: এই প্রথমবার পুজোর অ্যালবামের জন্য গান গাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে চণ্ডীপাঠ করলেন মদন মিত্র। শ্রদ্ধা ও ভক্তি সহকারে চণ্ডীপাঠ শ্রবণ করলেন উপস্থিত সাধারণ মানুষরা। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা অভিজিৎ চাকলাদার বলছিলেন, মহালয়ার দিনে মদন মিত্রকে সঙ্গে পেয়ে তাঁরা আপ্লুত। স্থানীয়দের ভাল-মন্দে সবসময়ই পাশে থাকেন বিধায়ক। এবার মণ্ডপে এসে চণ্ডীপাঠও করলেন তিনি।
বেলঘড়িয়া মানসবাগের ৭৪ তম বর্ষের নিবেদন রবিরশ্মি। প্রকৃতির উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার করে চলেছে মানুষ। যার ফল গ্লোবাল ওয়ার্মিং। নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য। সেই ভারসাম্য রক্ষা করতে সূর্যের তাপের প্রয়োজনীয়তা বোঝাবে এই মণ্ডপ। আর তারই উদ্বোধন হল মদন মিত্রের চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে।