সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে অস্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রশিক্ষণ নেবেন বলেই দাবি তাঁর। পালটা মদনকে ‘গ্যাংস্টার’ কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) শনিবার নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর মহিলা তৃণমূল পরিচালিত একটি সভায় অংশ নেন। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘দিলীপবাবু বলেছেন, ওঁরা ওঁদের কর্মীদের ঘরে ঘরে অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে অস্ত্র কোথায় পৌঁছচ্ছে জানতে পারলে আমাদের ভালই হবে। আমাদের কর্মীরা গিয়ে ওগুলো নিয়ে নেবে। আমাদের কাছে ভাল প্রশিক্ষক রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রাক্তন সেনা কর্মী এবং কর্নেল। আমাদের কর্মীরা ওই বন্দুক নিয়ে প্র্যাকটিস করবে যাতে সেগুলো বিজেপি ব্যবহার করতে না পারে। আমাদের কর্মীরা বন্দুকে গুলি ঢোকাতে এবং বার করতেও শিখবে।’’
[আরও পড়ুন: চলতি মাসের শেষে সুন্দরবন সফরে মুখ্যমন্ত্রী, গোসাবায় করবেন জনসভা]
বন্দুকের ব্যবহারিক প্রয়োগও কি হবে, সে বিষয়েও জবাব দিতে গিয়ে অবশ্য কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের শিখে রাখলেই হবে। ব্যবহার করার দরকার পড়বে না। ফাঁকা মাঠ তো।’’ একজন তৃণমূল বিধায়কের এহেন মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা। কীভাবে তৃণমূল বিধায়ক এমন উসকানিমূলক মন্তব্য করতে পারেন, সে প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। তৃণমূল বিধায়ককে একহাত নিয়েছে বিজেপি। সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে ‘গ্যাংস্টার’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এগোচ্ছে শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষ। ভোট বৈতরণী পার করতে যে যার মতো করে রণকৌশল স্থির করছেন। তারই মাঝে একের পর এক রাজনীতিকের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রায় সকলেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে তো, ওয়াকিবহাল মহলের মনে জাগছে সে প্রশ্নও।